আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে নতুন সদর দপ্তরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যরা রাশিয়ার ওয়াগনার গোষ্ঠীর কাছে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র বিক্রি করছে বলে দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। ওয়াগনার হলো রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা এবং তারা ইউক্রেনে মস্কোর হয়ে যুদ্ধ করছে। আর এই খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ইউক্রেনে ৫০ হাজার ওয়াগনার যোদ্ধা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছে বলে মনে করা হয়। তাদের কাছে অস্ত্রের প্রথম শিপমেন্ট পৌঁছে গেছে। তাতে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ‘ওয়াগনারের কাছে কী পরিমাণ অস্ত্র পৌঁছেছে, তা আমরা খতিয়ে দেখেছি। এর ফলে যুদ্ধের গতি বা ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।’ কিরবি বলেছেন, গত মাসে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র পাঠিয়েছে। তারা আরও অস্ত্র পাঠাতে পারে। তাই যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি উত্তর কোরিয়ার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন অস্ত্রের জন্য উত্তর কোরিয়ার মুখাপেক্ষি হয়েছেন। বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়া কতটা একা ও বেপরোয়া।’ তবে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের এই খবর ভিত্তিহীন। দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়া তাদের নীতিগত অবস্থান বদল করেনি। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কোনোরকম অস্ত্র কেনাবেচা হয়নি।
পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএ জানিয়েছে, ইউক্রেনে যে রক্তপাত হচ্ছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। তারা ইউক্রেনের কম বয়সীদের হাতে মারাত্মক অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।
এদিকে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কেনাবেচার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে অস্ত্র বিক্রি করেছে। রাশিয়াও ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসন বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।