
টাইমস ২৪ ডটনেট :কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়া এলাকার একটি জনৈক করিমের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ০.৮১৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ১টি বিদেশী পিস্তলসহ শফিক (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অদ্য ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখ বিকেলে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যক্তি মায়ানমার থেকে সমুদ্রপথে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র এনে টেকনাফ পৌরসভা ০৭নং ওয়ার্ডের উত্তর জালিয়াপাড়া এলাকার একটি বসতবাড়িতে ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। পরবর্তীতে বিজিবি’র নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যটি যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত করেন যে, জালিয়াপাড়া এলাকার জনৈক করিমের বসতবাড়িতে গোপনে মাদক ও অস্ত্রের লেনদেনের প্রস্তুতি চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবির একাধিক বিশেষায়িত আভিযানিকদল চোরাকারবারীদের ধরতে জালিয়াপাড়া এলাকায় অভিযানে নামে এবং চারদিক ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালায় আনুমানিক বিকেল ০৩.৩০ ঘটিকায় অধিনায়ক ও তার টহলদল করিমের বসতবাড়িতে প্রবেশ করলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক করিমসহ অন্যান্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শফিক (২৬) নামের একজনকে আটক করতে সমর্থ হয়। এসময় অপর দুইজন পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, উক্ত বাড়িতে মাদকদ্রব্য খুচরা ইয়াবা ক্রয়/বিক্রয়ের আসর বসার তথ্যও পাওয়া জায়।
আটককৃত শফিক টেকনাফের পুরাতন পল্লানপাড়া গ্রামের ইউনুসের ছেলে। আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্যমতে করিমের বসত বাড়ির খাটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ০.৮১৬ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে আটককৃত ব্যক্তিকে মাদক ও পিস্তলসহ প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অভিযানস্থলে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে উপস্থিত সকলকে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করেন এবং মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয়দেরকে মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবিকে সর্বাত্মক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান, যাতে টেকনাফের মাদক চক্রের সাথে সম্পৃক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।