বাংলাদেশ

খিলক্ষেতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন নাটক : টার্গেটে ৪৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি

এস.এম.নাহিদ :ঢাকা মহানগর উত্তরের খিলক্ষেত থানাধীন ৪৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি দিদার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগ উঠেছে।নিজ দলের অভ্যন্তরের বিভিন্ন নেতা কর্মীরাও এই নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।সোচ্চার রয়েছেন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায়।প্রতিবাদ ও আক্ষেপ জানাচ্ছেন ফেসবুকে।এমনকি এই সভাপতির বিরুদ্ধে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার এমপি ও বিভিন্ন নেতাদের সাথে তোলা ছবিও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।তবে অভিযোগের গুরুত্ব এবং সত্যতার মানদন্ডের ভিত্তিটা কতটুকু মজবুত, সেটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নিজ দলের নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসীর কাছে।

এই বিষয়ে দিদার হোসেন মোল্লার বক্তব্য, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলের প্রতি আমার নিষ্ঠা ও ত্যাগের কারণে কিছু মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমি কখনোই চাঁদাবাজি বা দখলদারিত্বে জড়িত ছিলাম না।রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

এলাকায় এই সভাপতি দিদারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিএনপি’র একাধিক নেতা কর্মীদের বক্তব্য,দলীয় নেতাকর্মীদের একটি অংশকে উপেক্ষা করছে এই সভাপতি।ফলে এলাকায় আয়ের বিভিন্ন খাত থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছি।কারন এই সভাপতির মাথার উপরে রয়েছে মহানগরের এক সিনিয়র নেতার আশির্বাদ।তাছাড়া মহানগরের অন্য কোন নেতার অনুসারী হলে সেই নেতাকর্মীকে বরাবরই এড়িয়ে চলে ওয়ার্ড সভাপতি দিদার মোল্লা।আর এভাবেই দিনের পর দিন নিজ দলের অভ্যন্তরে বেড়ে চলেছে বিভেদ,দ্বন্দ্ব।যেটা মেটানোর কোন উদ্দ্যেগই নেয় না
এই সভাপতি দিদার মোল্লা।

এদিকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল গরম তেলে ঘি ঢালতে উঠেপড়ে লেগেছে।ফ্যাসিষ্ট হাসিনার এমপি নেতাদের সাথে সভাপতি দিদার মোল্লার ছবি গলা কেটে লাগিয়ে সেটাকে ফেসবুকে ভূয়া আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।এমনকি সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই নামসর্বস্ব বিভিন্ন পত্রিকায় দিদার মোল্লার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।তবে এমনকান্ডে একদিকে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবার পাশাপাশি সেই স্বার্থান্বেষী মহলের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে এলাকার সাধারনের কাছে।

এদিকে খিলক্ষেত ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বলেও মনে করছেন স্থানীয় কতিপয় নেতাকর্মীরা।উল্লেখিত এমন পরিস্থিতিতে দলের সিনিয়র নেতাদের সিদ্ধান্তে নিজ দলীয় সকল নেতাকর্মীর সঠিক মুল্যায়ন ও সম্মিলিতভাবে সকল কাজের অংশীদারীত্বই দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করা সহ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো বেগবান করে দেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে গোটা ৪৩নং ওয়ার্ডবাসীকে।

Related Articles

Back to top button