topআন্তর্জাতিক

ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনা

টাইমস ২৪ ডটনেট: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে কাতারের দোহায় আলোচনায় চলছে। তবে এ আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় আছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে এই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা শুধুমাত্র সময়ক্ষেপণ করেছে। ইসরায়েল দোহায় নিম্নসারির কর্মকর্তাদের আলোচনার জন্য পাঠিয়েছে। যাদের মূল বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই।গাজা থেকে দখলদার ইসরায়েলের সেনাদের প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা বিতরণ বিষয় নিয়ে এ মুহূর্তে মূল আলোচনা চলছে। কিন্তু এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না।যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন। এর আগে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু হামাস যদি ইসরায়েলের শর্ত অনুযায়ী স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তাহলে গাজায় আবারও হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এ দখলদার।কাতারের দোহায় দখলদার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত আট দফা বৈঠক হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে এখনো বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এ কারণে দোহা আলোচনা যে কোনো সময় ভেস্তে যেতে পারে।হামাস আলোচনায় দাবি করেছে, গাজায় যেসব মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে সেগুলো অবশ্যই জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
অপরদিকে ইসরায়েল বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশনের’ মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করতে চায়। এই সংস্থার কাছ থেকে ত্রাণ আনতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়া যুদ্ধবিরতি চলাকালীন দখলদার ইসরায়েলের সেনারা গাজার কতটুকু অংশ থেকে সরে যাবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব আছে। দখলদাররা পঞ্চম দফার আলোচনার সময় হামাসকে অবহিত করে, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে তারা গাজা সীমান্তের এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করবে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা যে ম্যাপ প্রদান করে সেখানে দেখা যায়, গাজার কিছু জায়গার তিন কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা থাকবে। শুধু তাই নয় গাজার বিশাল অংশে তাদের উপস্থিতি থাকবে। হামাস দখলদারদের এ ম্যাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।এই ম্যাপে দেখা গেছে ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতির সময় রাফার পুরো অংশ, খান ইউনিসের পূর্ব দিকের খুজা গ্রামের ৮৫ শতাংশ, উত্তরাঞ্চলের বেঈত লাহিয়া এবং বেঈত হানোনের বড় অংশ, পূর্বাঞ্চলের গাজা সিটির তুফাহ, সেজাইয়া এবং জেইতুনে অবস্থান করবে।হামাস কর্মকর্তারা এই ম্যাপের পর ইসরায়েলিদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যা দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের আরও ঘাটতি তৈরি করেছে।ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে যাওয়ার পর যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ার ভান করেছে ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা।

সূত্র: বিবিসি।

Related Articles

Back to top button