
মসিয়ার রহমান কাজল,বেনাপোল: যশোরের শার্শা মাঠে দেখতে সুন্দর খেতে সুস্বাদু পুষ্টিগুনে ভরা ভেষজগুণে সমৃদ্ধ ডায়াবেটিস ঔষুধ ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে।
বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় এই ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদে টবে লাগানো যায় ড্রাগন গাছ। প্রতিদিন এই ফল ও গাছ দেখতে মাঠে আসছেন বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থী আনোয়াল কবীর জানান শুনেছি ড্রাগন ফল খেলে ডায়বেটিস রোগ সারে তায় মাঠে এসে দেখছেন এফলগাছ।
দেখতেও খাইতে খুবই সুস্বাদু।গায়ের খোলা পরিষ্কার করার পর ভিতরে টকটকে লাল।
যার রয়েছে অনেক ঔষধিগুন,ফলে তারা দেখে ও শুনে ও বাসার জন্য কিনে খুশি মনে ফিরছেন বাড়ীতে।
স্থানীয় চাষী বিল্লাল হোসেন জানান রাসায় নিক- সারওকীটনাশক ছাড়াই শুধু মাত্র পরিচর্যায় হয় ড্রাগন ফল চাষ।সিমেন্টের তৈরী পিলারের উপরে বাঁধা টায়ারেজড়িয়ে ওঠে ড্রাগন।১৪ মাস পর শুর হয় গাছে ফল আসা।৩০/৩৫ দিনপর কাটা যায় পাকা ড্রাগনফল। ড্রাগন ফল বাজারে এখনবিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।
শার্শার উপজেলার বেনাপোল পৌট থানার ৩নং বাহাদুর ইউনিয়ন এর সরবাংহুদা গ্রামের কৃষক ওবায়দুল রহমান বলেন এবার দশ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল লাগিয়,সিজেনে তার দশ বিঘা জমিতে মোট খরচ হবে ৪০ লাখ।আবহাওয়া ভালো ও ফলন ভালো হয়েছে আশা করি এবার লাভের ভাগ বেশি হবে।
তিনি আরো বলেন ড্রাগন চাষে দরকার সরকারি সহযোগিতা ও কৃষকদের প্রশিক্ষন পরামর্শএবং ড্রাগন ফলেরবাজার সম্প্রসারন করা।তাহলে এলাকার চাহিদা মিটিয়েএই ফল বিদেশে রফতানি সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য ভিয়েতনামের ফল ড্রাগন, শার্শায় বানিজ্যিক ভাবে শুর হয়েছে এফল চাষ। লাভ বেশী হওয়ায়এ ফল চাষেআগ্রহ প্রকাশ করছে অনেকেই।
উপজেলার বাগআচড়া বসতপুর,গোগা, রাজাপুর,বেনাপোল ঘিবা,ও সরবাংহুদার মাঠে চাষ হচ্ছে,কৃষকেরা জানান সরকারি সহযোগিতা পেলে তারাও করতে চান ড্রাগন চাষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা- দীপক কুমার সাহা বলেন ড্রাগন চাষ করে প্রতি বিঘা থেকে ২ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। ড্রাগন চাষে কৃষি অফিস থেকে চাষীদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে ফলে লাভবান হচ্ছে তারা। এলাকার অনেক চাষী এই ফলচাষে আগ্র প্রকাশ করেছে। আগামীতে চাষীদের আরো সহযোগিতা ও প্রশিক্ষন বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।