
এস.এম.নাহিদ: রাজধানীর খিলক্ষেতের উত্তর নামাপাড়া বোটঘাট এলাকার ক-২২৮/৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামের ফ্ল্যাটে গত ১০ জুন বিকেল ৪টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। নিজেদের পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তারা ফ্ল্যাটে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে এবং সহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
ঘটনার একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে সহিদুল ইসলামের পরিবার ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। এ সময় ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়। সঙ্গে ফ্ল্যাটের ২টি সিসিটিভি ও ডিভিআর খুলে নিয়ে যায়। এরপর বাকি টাকার জন্য ঘরে থাকা এটিএম কার্ডসহ তাদের গার্ড দিয়ে স্থানীয় একটি বুথে নিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রাইম ব্যাংকের বাকি ৪ লাখ টাকার একটি চেক (চেক নম্বর–৪৬০৯৬৮৩) লিখিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ১০০ টাকা মূল্যমানের পরপর ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে পাথর ক্রয় বাবদ পাওনা টাকা উল্লেখ করে জোরপূর্বক সই নিয়ে অন্যান্য মালামাল লুটপাট চালিয়ে সন্ধ্যার আগেই পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তারা বিষয়টি খিলক্ষেত থানা পুলিশ ও স্থানীয় পূর্বাচল সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। এরপর মধ্যরাতে থানা থেকে পুলিশের এসআই আব্দুল আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চলে যান। পরদিনও পুলিশের কোনো তৎপরতা না থাকায় বিষয়টি আবারও সেনা ক্যাম্পে জানানো হয়। এরপর খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও আমাদের ফোন করে তথ্য নেন। পরবর্তীতে ১১ জুন রাতে পুলিশ তলব করলে আমরা থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।
খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে বাদীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এখনও জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।