
এস.এম. নাহিদ :রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী শিশির। প্রশাসনের নিরবতা এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তার দুঃসাহস এখন ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেউ তার কথার বাইরে গেলে, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে উত্তর পাশের কাঁচাবাজারের ভিতরে ধরে এনে লাঠি দিয়ে নিজের হাতে পেটায়। গভীর রাতেই এই নৃশংস কার্যক্রম চালায় শিশির বাহিনী।
শিশিরের নিয়ন্ত্রণে থাকা উত্তর পাশের কাঁচা বাজারে রয়েছে অন্তত ৩৫টি দোকান। প্রতিদিন মুরগির ৬টি দোকান থেকে ১,০০০ টাকা, মাছের ২৬টি দোকান থেকে ২০০ টাকা করে এবং ৩টি ফলের দোকান থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। প্রতিদিনের আয় প্রায় ১২,১০০ টাকা, যা মাস শেষে দাঁড়ায় ৩,৬৩০০০ টাকা। এছাড়া প্রতিটি বড় দোকান থেকেও অগ্রিম ৭০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা (অফেরতযোগ্য) এবং নিঃশর্তে বাধ্যতামূলক দিতে হয়।
শিশিরের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সে নিয়মিত গাঁজা সেবন করে এবং বাজার এলাকায় মাদকের ছড়াছড়িতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। প্রায় দুইমাস আগে গোপন সংবাদ পেয়ে কুর্মিটোলা স্কুলের পাশের একটি টিনশেড বাড়ি থেকে আনু: ৪০০গ্রাম গাঁজা সহ ৪ নারীকে আটক করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে সেই মহিলারা বলে,ব্যাবসার জন্য নেতা শিশির তাদের টংগী থেকে এনে বাসা ভাড়া করে দিয়ে এখানে রেখেছে।আর তাইতো শিশিরের এসব কার্যক্রমে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা টনিক হিসেবে কাজ করে বলেই শিশিরের আস্থানায় নিয়মিত যাতায়াত করে সুবিধাভোগীরা।শিশিরের বাড়ি চাদপুরে,রাতে ঘুমায় পূবাইল মীরেরবাজারে আর চাঁদাবাজি করে এই খিলক্ষেতে।তাহলে শিশির কি কারো এটিএম কার্ড?শিশির কি কারো অপারেশনাল মেশিন?
এদিকে গনমাধ্যমে খিলক্ষেত বাজারের চাঁদাবাজির ধারাবাহিক চিত্র “খিলক্ষেতে চাঁদাবাজি করেই ওরা লাখপতি ” শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হবার পর থেকে আকার ইংগিতে বিভিন্ন ব্যাক্তিদের দ্বারা পরোক্ষভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিলো এই প্রতিবেদককে।অবশেষে বৃহস্পতিবার ৬ই জুন রাত আনু:৮টার সময়ে ৩০০ফিট কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে খিলক্ষেতের চিহ্নিত চাঁদাবাজ শিশির।
এই বিষয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।ডায়েরি নং-৪০৮।