
বেনাপোল প্রতিনিধি:এনবিআর বিলুুপ্তি করে প্রণীত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে চলতে থাকা আন্দোলন স্থগিত করায় বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা ৯ দিন কর্মবিরতির পর দু’দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পণ্য চালান জমতে থাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রতিটি শাখায় উপচে পড়া ভিড় জমেছে। দ্রুত পণ্য খালাসে সহযোগিতা করছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের শুল্কায়নের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে পূর্বের ন্যায় শুল্কায়ন কার্যক্রম চলতে থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ কাস্টম সংশ্লিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। ফিরে এসেছে পূর্বের ন্যায় কর্ম চাঞ্চল্যতা। স্বস্তি পেয়েছে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অনেকদিন পর শুল্কায়নের কাজ শুরু হওয়ায় কাস্টম হাউসের সকল গ্রুপে ফাইল জট সৃষ্টি হয়েছে। তবে, কাস্টম কর্মকর্তারা দ্রুত শুল্কায়নের কাজ করছে।
জানা গেছে, এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে একটানা গত ১৪ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে। তবে শুক্রবার বন্ধ এবং ২০ মে ও ২২ মে কর্ম বিরতি ছিল না। কর্মবিরতি চলাকালে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচলসহ পাসপোর্ট যাত্রীসেবা স্বাভাবিক ছিলো। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনীসহ অধিকাংশ দাবির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একমত হওয়ায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা আন্দোলন স্থগিত করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, সোমবার সকাল থেকে কাস্টম হাউসের সকল শাখায় কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান জানান, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় বেনাপোল কাস্টম হাউসে সকাল থেকেই সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে। দ্রুত আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন করা হচ্ছে। কিছু কিছু গ্রুপে কাজের চাপ খুব বেশি। সেসকল দপ্তরে অতিরিক্ত লোক দিয়ে কাজ শেষ করা হচ্ছে। অযথা সময়ক্ষেপণ যেন না হয় সেদিকেও তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি শাখায় দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।