বাংলাদেশ

হামলা, ভাংচুর এবং শারীরিক নিগ্রহের প্রতিবাদে বায়রা,র বিবৃতি

টাইমস ২৪ ডটনেট : সোমবার ১৯শে মে বায়রার সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রবীণ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্রবীণ নেতা মোস্তফা মাহমুদের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটমুক্ত সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্তের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল এর কর্ণধার পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের পালিত সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় জনাব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, নজরুল মনির, জহিরুল ইসলাম-সহ দশ-বারোজন সম্মানিত বায়রার সদস্য আহত হন এবং রুহুল আমিন স্বপনের সন্ত্রাসী বাহিনী রিপোর্টার্স ইউনিটির গুরুত্বপূর্ণ কক্ষসমূহে ভাঙচুর চালিয়ে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে। আমরা বায়রা সদস্যদের পক্ষ থেকে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি, একইসাথে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে যথাযথ শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আসন্ন জেডব্লিউজি মিটিংয়ের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের মালয়েশিয়া সফরে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে প্রস্তাবিত সিন্ডিকেটমুক্ত সকল রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে শ্রমবাজার উন্মুক্তের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজার খোলার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আসন্ন JWG বৈঠকে বায়রা সদস্যদের দাবিসমূহ নিম্নরুপ-
১। সরকারের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেটকে সরাসরি না বলতে হবে সম্প্রতি যেমনটি নেপালের মন্ত্রী করেছিলেন, তাহলে দুষ্কৃতকারীগণ ভবিষ্যতে আর সিন্ডিকেটের মতো হীন কর্মে জড়াতে সাহস পাবে না।
২/ আগামীকালের JWG মিটিংয়ে দুই দেশের সাথে সম্পন্ন হওয়া পূর্বের সমঝোতা স্মারক এর পৃষ্ঠা নং ২৮-এর (c)-এর (v) ধারা বাতিল/সংশোধন করে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রির ন্যায় মালয়শিয়ান সরকারের পরিবর্তে সেখানকার নিয়োগকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩/ মালয়েশিয়ান শ্রমবাজার কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয় বরং সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ নিশ্চিৎ করতে হবে। বায়রার সদস্যরা মনে করেন ফ্যাসিবাদী আমলে সৃষ্ট সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করার এখনই মোক্ষম সময়।
৪/ সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে, যাতে করে বিপ্লবী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা অক্ষুন্ন থাকে।
সিন্ডিকেট বিরোধী সাধারন সদস্যদের পক্ষে সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ উল ইসলাম সিনিয়র সদস্য খন্দকার আবু আশরাফ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব
আকবর হোসেন মঞ্জু, সাবেক সহ-সভাপতি মোরাজ্জেম হোসেন, ইসি সদস্য জহিরুল হক (জুও)। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজ (বায়রা) মঙ্গলবার ২০ মে এই বিবৃতি প্রকাশ করে।

Related Articles

Back to top button