
টাইমস ২৪ ডটনেট :বোধবার ১৪ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে সকল বিভাগের কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণের সাথে বালুমহাল সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:), ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
১। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকগণকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যে সকল স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলিত হয়, সেসকল স্থানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
২। জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারিকে জানাতে হবে।
৩। নতুন বালু মহাল ঘোষণার পূর্বে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপসহ প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৪। দীর্ঘদিনের পুরানো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে প্রদত্ত বালু মহালের ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণের পূর্বে পুনরায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে ইজারা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৫। ইজারাধীন বালুমহালের সীমানা ইজারাদারকে চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং চিহ্নিত এলাকার বাহিরে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৬। সুর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭। যেসব বালু মহাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক জেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৮। অবৈধভাবে উত্তোলিত জব্দকৃত বালু নিলামে না দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।
৯। বালু মহালের ইজারাগ্রহীতা কর্তৃক শর্ত ভঙ্গ হলে শুধু শ্রমিকদেরকে নয়, বরং ইজারাদারকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
১০। জেলা পর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।