বাংলাদেশ

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, মিশ্র ও নীরব এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ

টাইমস ২৪ ডটনেট:শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, মিশ্র ও নীরব এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।

শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়, স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন ব্যাহত হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ সহ মস্তিষ্ক বিবৃতি ঘটতে পারে, ক্ষুধামান্দ্য ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয়, মাথাব্যথাসহ কাজে মনোযোগ ব্যাহত হয়, কর্মদক্ষতা ও কাজের গুণগতমান হ্রাস পায়, ফুসফুসজনিত জটিলতা দেখা দেয়, অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সম্মানিত নাগরিক, গাড়ি, মোটরসাইকেল চালক, নৌ যান চালকগণকে শব্দ দূষণ রোধ ও নীরব এলাকায় হর্ণ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শব্দ দূষণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ৬৪ জেলায় এ কার্যক্রম এক যুগে পরিচালিত হচ্ছে।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে যানবাহনের স্টিকার লাগানো শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন এবং সচেতনতামূলক আলোচনা শহরের বিভিন্ন মোড়ে কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গ্রীন ভয়েস (পরিবেশবাদী যুব সংগঠন) স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিক এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রীন ভয়েস ঢাকার আরো তিনটি পয়েন্টে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রম দুই শিফটে ১৫ জন ১৫ জন করে সকাল আটটা থেকে বারোটা বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণ জনিত অপরাধের শাস্তি প্রথমবার অপরাধের জন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড, পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড রাখা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button