বাংলাদেশ

মিরপুরের রূপনগর এলাকায় হাইকোর্টের আপীল বিভাগের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের আপীল বিভাগের স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করে একটি বাড়ি ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে বিক্রি করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, রূপনগর থানার ওসি মোকাম্মেল হক ও স্থানীয় অপরাধি চক্রের যোগসাজশে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে ঘটনার তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার।

আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নীচতলার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মো. ইয়াসিন বেগ, মো. সোহেল বেগ ও সাবিহা ইসলাম ঝুনাসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে মো. সোহেল বেগ জানান, রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাড়িটি বিগত ১৯৯৫ সালের ৯ মে ফিরোজা খাতুন মৌখিকভাবে দান করে এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে নামজারি করে বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে তার পিতা মৃত. মো. আব্দুল মতিন বেগ তা কিনে নিতে উভয়ে একমত হয়ে বাড়ির মূল্য ২৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে গত ১৯৯৯ সালের ৭ জানুয়ারি একটি বায়না চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী একই ৮ জানুয়ারি বাড়ির নীচতলার দখল বুঝিয়ে দেয়। ফিরোজা খাতুন এ সময় অকন্ডনীয় ব্যাপক আম-মোক্তারনামা দলিল প্রদান করেন (দলিল নং-১৭০৯)। পরে ফিরোজা খাতুন আম-মোক্তার নিয়োগের আবেদন করলে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ১৩/২৬ নম্বর প্লটের যাবতীয় কার্যক্রম করার অনুমোতি প্রদান করেন। এ সময় ফিরোজা খাতুন তার স্বামী মৃত. গোলাম রাব্বানী যে ওই বাড়ির মূল দলিল বন্ধক রেখে নয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেছিলেন তা গোপন রাখেন। পরে তারা ওই ব্যাংকের ঋণের চৌষট্টি লাখ আটাত্তার হাজার টাকাও পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে ফিরোজা খাতুন প্রতারণাপূর্বক ওই বাড়িটি অন্য এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। এতে তারা আদালতের দ্বারস্ত হলে আদালত ইয়াসিন বেগের পক্ষে রায় দেয়।

তিনি আরও জানান, হাইকোর্ট ওই বাড়িতে স্থিতিবস্থা জারি করাবস্থায় রূপনগর থানার ওসি মোকাম্মেল হকের সহযোগিতায় বাড়ি ভেঙ্গে মালামাল লুটপাট করে বিক্রি করে দেয়। পরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান গং ফিরোজা খাতুনের পক্ষে থেকে তাদেরকে হয়রানি করা অব্যাহত রাখেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ৫ আগস্টের পর স্থানীয় মাঈনুদ্দিন গং ও টুটুল গংয়ের যোগসাজশে ওই বাড়ি থেকে তাদের বের করে দিয়ে তা দখল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে। পরবর্তীতে তারা ওই বাড়িটি ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে বিক্রি করে দেয়। ঘটনাটি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে অবহিত করার পর তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button