
আনিসুর রহমান মোল্লা, টাইমস ২৪ ডটনেট : তন্ময় হাসান কাজল একজন সজ্জন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্বের অধিকারী তন্ময় হাসান কাজল। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।অনুষ্ঠিত কাউন্সিল বিশাল একটি মিছিল নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন তন্ময় হাসান কাজল। গত ২৮ এপ্রিল সোমবার বিকেলে উপজেলার মোহনপুর মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল। আর সেই কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী তন্ময় হাসান কাজল ব্যাপক কর্মী সমর্থক নিয়ে দলের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেন এবং জামাদান করুন।তিনি একজন কর্মী বান্ধব ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্বের হিসেবে এলাকায় সমাদৃত। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে রয়েছে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা।আর সেই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তন্ময় হাসান কাজল।তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।সেকারণেই তাঁর নামে ৩ টি রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলা ঠুকে দিয়েছিলো স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসররা।আওয়ামী লীগের শাসনামলের দায়েরকৃত ৩ টি মিথ্যা মামলার আসামী হওয়ার কারণে তন্ময় হাসান কাজলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ মানুষিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানান।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, দাউদকান্দি ও তিতাসের বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের নির্দেশে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন তিনি। তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওসমান গনি ভূইয়া এবং সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিল ও মিটিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন তন্ময় হাসান কাজল।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা তন্ময় হাসান কাজলের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দীর্ঘ সমাদৃত। ২০০৩ সালে মজিদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষে গৌরীপুর মুন্সী ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল থেকে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে জয়ী হন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি তিতাস উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১৭ সালে মজিদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সুপার ফাইভ আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম- আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার সমর্থকদের বিশ্বাস, তন্ময় হাসান কাজল মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে ইউনিয়নের সংগঠন আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।
ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় নেতা । আমাদের এমন এক সৌভাগ্য যে ,দাউদকান্দি , তিতাস ও মেঘনা বাসিসহ এমন একজন লোক নেতা পেয়েছি । ডক্টর খন্দকার মোশারফ হোসেন সাহেব নিঃস্বার্থভাবে এই উপজেলা গুলির সাথে সব সময় ছিল!!! সবচেয়ে বেশি পেয়েছি নবগঠিত তিতাস উপজেলা । ডক্টর খন্দকার মোশাররফ সাহেবের আমলে আমাদেরকে যা দিয়েছে তা আমাদের শুকরিয়া করা উচিত। ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও মামলা মোকোদ্দামায় নিয়ে সবসময় তিতাস বাসিকে হয়রানি করেছেন । এই ১৬ বছর কারো ভোট কেউ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি । ধিক্কার জানাই এই আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে । এই আওয়ামী লীগের জুলুমবাজ নেতারা গা-ঢাকা দিয়ে আছে আজ। আসুন আমরা সবাই মিলে আবার ডঃ মোশাররফ হোসেন সাহেবের হাতকে শক্তিশালী করি ।
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা বিএনপির ৯টি ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে । ০৭/০৫/২০২৫ ও ০8/০5/২025 ইং নয়টি ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া †dmeyK এর মাধ্যমে প্রচার হয়। উক্ত কাউন্সিলে বিভিন্ন ইউনিয়নে যারা সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহ এই পাঁচজনের কমিটি গঠন করে ছাড়পত্র দিয়েছেন । মোহাম্মদ ওসমান গনি ভূঁইয়া,( আহবায়ক) ও মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া (সদস্য সচিব ) বিএনপি তিতাস উপজেলা স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র ঘোষণা দেন ৯টি উনিয়নের মধ্যে। তিতাস থেকে সরে জমিনে এই নিউজ সংগ্রহ করা হয়েছে। খুবই স্বচ্ছ পরিষ্কার মেধাবী ত্যাগী নেতাদেরকে নিয়ে নয়টি ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়েছে । আশা করি আপনারা বিএনপির আদর্শকে লালিত পালিত করে ডঃ খন্দকার মোশারফ সাহেবের হাতকে আরো শক্তিশালী করবেন শক্তিশালী করবেন বলে সুশীল সমাজ আশা করে। আমি মনে করি বিএনপি দল আমাদের সবার। তাই আমরা সবাই ঐক্যমত ভাবে কাজ করব । যারা কোন পদ পান নাই তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রয়েছে । জীবনে বেঁচে থাকলে আবার পদ পাবেন ইনশাল্লাহ ।