অর্থনীতি

বেন গুরিয়নের পতন

টাইমস ২৪ ডটনেট: ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইহুদিবাদী ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তর এবং উন্নত মার্কিন ব্যবস্থাকে অতিক্রম করে দখলদার ইসরাইলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। ‘ফিলিস্তিন-২’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইহুদিবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ইয়েমেনের হামলার ঘটনা নিরাপত্তা মহলকে বিস্মিত করেছে। বর্ণবাদী ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।কৌশলগত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ইয়েমেনি বাহিনীর সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সমীকরণের পাল্টে দেওয়ার মতো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। হিব্রু ভাষার সূত্রগুলো বলছে, দখলদার ইসরাইলের “হেইতস-৩” এবং মার্কিন “থাড” ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার পরও ইয়েমেনি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ইসরাইলি সামরিক বিশ্লেষক ইয়োসি ইয়েহোশুয়া ইহুদিবাদী পত্রিকা ইয়েদি‌য়ুত আহারনুত-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হেইতস ও থাড উভয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।ইহুদিবাদীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তেল আবিবে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই সময়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। হিব্রু সূত্রগুলো বলছে, এই ঘটনায় দখলদার ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সরকার আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এবং হেটস’র মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্রের রাডার এড়িয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি, মানব ত্রুটি এবং বহু ফ্রন্ট থেকে হুমকির কারণে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। ইসরাইলের একটি সামরিক সূত্র মা’আরিব পত্রিকাকে বলেছে, “ইয়েমেন একটি অপ্রত্যাশিত খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে।”ইয়েমেনে সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সতর্ক করে বলেছেন, সবচেয়ে বিস্ময়কর অভিযান এখনও তারা চালায়নি, সেটা বাকি আছে। ইসরাইলি বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়েমেনের হামলার জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইলের সামনে খুব বেশি বিকল্প নেই। কারণ দখলদার ইসরাইল এবং ইয়েমেনের মধ্যে দূরত্ব ২,০০০ কিলোমিটার। এ কারণে ইয়েমেনের হামলার জবাব দেওয়াটা হবে ব্যয়বহুল। এ কারণে ইসরাইলের নিরাপত্তা ও সামরিক মহল আতঙ্কে রয়েছে। তারা বলছে- ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে আঘাত হানতে পেরেছে, এ অবস্থায় বড় কোনো হামলা হলে তা ঠেকানো যাবে কি?

সূত্র: পার্সটুডে।

Related Articles

Back to top button