বাংলাদেশ

খিলক্ষেতে দখলবাজদের কবলে রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ, প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা

এস.এম.নাহিদ :রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলওয়ের মূল্যবান জমি দীর্ঘদিন ধরে একদল প্রভাবশালী দখলবাজের কবলে পড়ে আছে। দখলদাররা রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, পার্ক ইত্যাদি গড়ে তুলেছে। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা ও উদাসীনতায় এই দখলদাররা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

এদিকে খিলক্ষেত রেলওয়ে বাজার এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনার রাজত্ব। দখলদাররা রেলওয়ের জমিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেলার মাঠ, পার্ক ইত্যাদি নামে জমি দখল করে নিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে রেলওয়ের মূল্যবান জায়গা দখল করে দোকান তুলে চাঁদাবাজি করছেন।সম্প্রতি কুড়িল এলাকায় রেলের ১.৮৪ একর জমি দখল করে ‘খিলক্ষেত ইডেন পার্ক’ নামে একটি পার্ক নির্মাণের জন্য খেলার মাঠ বলে দখলে নিয়েছে একদল দখলবাজ। রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান জানিয়েছেন, কাউকে দোকানপাট কিংবা পার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

রেলপথ মন্ত্রণালয় গত ৫ই ডিসেম্বর একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রেলওয়ের জমি থেকে অবৈধ দখল নিজ নিজ উদ্যোগে সরাতে নির্দেশ দেয়। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তবে রেলের এমন নির্দেশ পাত্তা দেননি দখলদাররা। উল্টো নতুন করে দখল হয়েছে অনেক জমি।খিলক্ষেত এলাকার এই দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার মদদে এই দখলবাজরা রেলওয়ের জমি দখল করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। তারা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

তাই এই পরিস্থিতিতে রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের দৃশ্যমান কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। পাশাপাশি অবৈধ সকল ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করা সহ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেলওয়ের মূল্যবান জমি উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দখল প্রতিরোধে প্রশাসনের সক্রিয়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

Related Articles

Back to top button