
এস.এম.নাহিদ:কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে অপরিপক্ষ কাচা আমের উপর বিষাক্ত কার্বাইড প্রয়োগ করে আমগুলো পাঁকাতে শুরু করেন। তাদের পাঁকানো আমগুলো দীর্ঘ মেয়াদী করতে বিষাক্ত ফরমালীন যুক্ত করে পচন রোধে মওজুদ করেন এবং তারপর শুরু করেন বাজারজাত করণ। আর সেই বিষাক্ত আমগুলোতে এখন খিলক্ষেত বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের সম্রাজ্য বলা হয়। সেখাকার ৩টি উপজেলা শিবগঞ্জ, ভোলাহাট এবং নাচুল জোড়ে মাঠের পর মাঠ সারি সারি আমের বাগান। সেখান থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টন আম দেশের বিভিন্ন স্থানে এনে বাজারজাত করা হয়।সঠিকভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা না করায় এসকল আম খেয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মানব দেহে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের মত কঠিণ রোগ।
ঝড় বৃষ্টিতে গাছ থেকে পড়ে যাওয়া অপরিপক্ক কাঁচা আম গুলো বাগান মালিকরা কম দামে আড়তদারদেরনকাছে বিক্রি করে দেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা সেই অপরিপক্ষ কাচা আম মজুদ করে রেখে কাঁচা আমের উপর বিষাক্ত কার্বাইড প্রয়োগ করে আমগুলো পাঁকাতে শুরু করেন। তাদের পাঁকানো আম গুলো দীর্ঘমেয়াদী করতে বিষাক্ত ফরমালীন যুক্ত করে পচন রোধে মওজুদ করেন।তারপরে শুরু হয় বাজারজাত করণ।আর এভাবেই এই বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত আম বিভিন্ন নামে বর্তমানে রাজধানী খিলক্ষেতের কাঁচা বাজার, বিভিন্ন ফলের দোকান সহ ভ্যান গাড়ির উপরে বিক্রি হচ্ছে অহরোহ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ফরমালিন মূলত মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং এটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুনে।
অপরিপক্ব আমে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে তা দ্রুত পাকানো হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। বাজারে এমন ভেজাল আমের উপস্থিতি রোধে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। জনসাধারণকে সচেতন থাকতে হবে এবং সন্দেহজনক আম কিনতে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্থা গ্রহণ অতি জরুরি বলে মনে করেন খিলক্ষেতের সচেতন মহল।