বাংলাদেশ

দক্ষিনখান থানা ছাত্রদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ, সংগ্রাম ও সাহসিকতার প্রতীক

টাইমস ২৪ ডটনেট :জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক ভূমিকা আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ অধিষ্ঠিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি সাইফুল ইসলাম সাইফ, দক্ষিনখান থানা ছাত্রদলের সভাপতি। সদা হাশিখুশি প্রানোচ্ছল এক নিরংকারী ছেলে। সমাজের মুরুব্বিদের কাছে আদরের, ছোটদের কাছে অনুসরনীয়, সম বয়সীদের কাছে হিংসার, আর বড়ভাইদের কাছে ভালো ছেলে। হারিকেন দিয়ে খুজেও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাবেন না। কখনো কারো ক্ষতির কারন সে হয়নি, দলের পদকে ব্যবহার করে কোন অনৈতিক কাজে জড়ানোর কোন অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে নেই।

এই নির্মোহ ছেলেটাকেও আওয়ামী স্বৈরাচার কোন ছাড় দেয়নি, একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাকে ফাসিয়েছে, ৩৪ টা , গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে, তার উপরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে হামলা হয়েছে, ২০২০ সালে সিটি নির্বাচনের সময় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার খানের সন্ত্রাসী বাহীনীর হামলার স্বীকার হয়ে আহত হয় সে। স্নাতক কমপ্লিট করেও শুধু ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারনে যোগ্যতা থাকার পরেও কোন চাকুরি বা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ সে পায়নি।
সাইফুল ইসলাম সাইফ শত বাধা বিপত্তি পেরিয়েও দলীয় আদর্শ বাস্তবায়ন ও মানুষের মুক্তির আন্দোলনে ছিলো সদা অবিচল। কোন ভয় তাকে গ্রাস করেনি , রাজপথের প্রতিটি আন্দোলনে সর্ব উপস্থিতি ছিলো তার। তার মাঝে আগামীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায়। তাকে যখন ছাত্রদলের দক্ষিনখান থানার সভাপতি করা হয় সে সময় কমিটি দেবার জন্য লোক খুজে পাওয়া দুস্কর ছিলো, অনেকে ভয়ে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেবার মত ঘটনাও ঘটেছিলো সেসময়। দলের সেই দুর্দিনে সাইফ সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব গ্রহন ও পালন করেছে।
সাইফুল ইসলাম সাইফ স্থানীয় ছাত্ররাজনীতিতে এক পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের লড়াই-সংগ্রামে সক্রিয় থেকে সে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জন করেছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাইফ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে ৩৪ টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয় এবং সে কয়েকবার কারাবরণ করে। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সে দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। বরং নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই চালিয়ে গেছে।
তার এই ত্যাগ ও সংগ্রামের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে সে একজন অনুপ্রেরণার উৎস।
তার মতো সংগ্রামী নেতাদের হাত ধরেই আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করি। তার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক ভূমিকা আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ অধিষ্ঠিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।
সেইসাথে দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের আগে যাকে নেতা বানাবেন তার অতিত দেখে বানাবেন।

Related Articles

Back to top button