
টাইমস ২৪ ডটনেট: ইসরাইল পর্যটনের মৌসুমকে অর্থনৈতিক কাজে লাগাতে যুদ্ধ-পূর্ব পরিস্থিতির মতো বিমানের ফ্লাইটগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের মাধ্যমে তেল আবিবের অর্থনৈতিক ও বিমান সুবিধাকে ব্যাহত করেছে। অধিকৃত জেরুজালেমের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সিইও বলেছেন, “হুথিরা ঠিকই জানে তারা কী করছে। তারা বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে আঘাত হানছে কারণ তারা জানে যে পর্যটনের ক্ষতি করলে ইসরাইল অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এই কৌশলটি কাজ করেছে।”
ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আমেরিকান ওয়েবসাইট “মিডিয়া লাইন” ইসরাইলি বিমান চলাচল কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদনে লিখেছে যে, ইয়েমেনি বাহিনী বেন গুরিওন বিমানবন্দরে আক্রমণ বৃদ্ধি করলে বেশ কয়েকটি বিদেশী বিমান সংস্থা অবিলম্বে ইসরায়েল থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পর কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কারণে কিছু আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ইসরাইলে সাময়িকভাবে তাদের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিমান সংস্থার কাজকে গুরুতর হুমকির মুখে ফেলেছে।
মিডিয়া লাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পাসওভার উৎসবের ছুটির আগে বিমান সংস্থাগুলোকে শ্বাস নেওয়ার এবং কিছুটা পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেওয়ার পরে, ইসরাইলের পর্যটন শিল্প আবারও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে”। প্রতিবেদনটি আরও বলেছে: “বসন্তকালীন পাসওভার ছুটি যত এগিয়ে আসছে, ততই ইসরাইলি পর্যটন খাত ইয়েমেন থেকে হুথিদের আক্রমণের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে। এই উৎসব সাধারণত ইসরাইলে ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়।
ইসরাইলি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান অমি অ্যালন মিডিয়া লাইনকে বলেছেন, “বেশিরভাগ বিমান সংস্থাগুলো পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ভ্রমণ সতর্কতা শিথিল করা হয়েছে, তবে সবকিছুই ইসরাইলের স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করছে”। তবে, প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে “এই স্থিতিশীলতা খুবই ভঙ্গুর বলে মনে হচ্ছে, কারণ গত মাসের শেষের দিকে হুথিরা ঘোষণা করেছিল যে তারা সরাসরি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।” মিডিয়ালাইনের মতে, এই ধরনের হামলা বিমান সংস্থাগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে এবং দেশীয় পর্যটনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
গত মার্চ মাসে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী স্পষ্টভাবে বলেছিল যে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বিমান চলাচলের জন্য নিরাপদ নয় এবং গাজার উপর ইসরাইলি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের উপর থেকে অবরোধ তুলে না নেয়া পর্যন্ত এটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে।
গত বছর, ইয়েমেন এবং লেবানন থেকে ইসরাইলের গভীরে প্রতিরোধ ফ্রন্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তীব্রতর করলে, বেশিরভাগ বিদেশী বিমান সংস্থা বেন গুরিওন বিমানবন্দরে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছিল। তেল আবিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বারবার নিরাপত্তা সতর্কতা এবং রকেট হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার পর এবং ইসরাইলি আকাশসীমা অনেক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার জন্য অনিরাপদ বলে বিবেচিত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: পার্সটুডে।