
টাইমস ২৪ ডটনেট : মাঠ-পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজউকের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোন খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধূলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লেগ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে ওঠার মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য শহর গড়ে উঠবে।
খেলাধূলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ ১২ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল ০৩:০০ টায় স্কুল অফ লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট, হেলথব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এবং রুপনগর আবাসিক এলাকার এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর সেকশন- ৭ এর রুপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নং সড়কে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড- এর উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তারা এ কথা বলেন। প্রতি শনিবার বিকাল ৩.০০ থেকে ৫.০০ টা পর্যন্ত রুপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নং সড়কে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প, সামাজিকীকরণ, দাবা-লুডু-ক্যারাম-দড়ি লাফ-ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড আয়োজিত হবে।
উদ্বোধনী আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে এবং সংস্থার সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ লাইফ এর চেয়ারম্যান ডা: অনুপম হোসেন। আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ লাইফ এর সদস্য সচিব সাবরিনা নওরিন লিমু , ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মিরপুর সেকশন- ৭ এর রুপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নং সড়কের এলাকাবাসী এবং শতাধিক শিশু-কিশোর।
স্কুল অফ লাইফ এর সদস্য সচিব সাবরিনা নওরিন লিমু বলেন, বর্তমানে নগরে এলাকাভিত্তিক খেলাধূলার সুযোগের অভাবে প্রতিনিয়তই শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শিশুরা দিন দিন টিভিতে কার্টুন ও গেইমস এ আসক্ত হয়ে পড়ছে। এলাকাভিত্তিক খেলাধূলার সুযোগ তৈরি করা হলে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে এবং সামাজিক অপরাধ হ্রাস পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অফ লাইফ এর চেয়ারম্যান ডা: অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে আমাদের শিশুরা হাপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড আয়োজন করে খেলাধূলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নের্তৃত্ব প্রদান ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মানসিকতা গড়ে ওঠে।
আয়োজনের সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থানের সংকুলান বিবেচনায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধূলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করি।