
টাইমস ২৪ ডটনেট: শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইরানসহ অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে জন্য জার্মানির পক্ষ থেকে মানবাধিকার ইস্যুর ক্রমাগত অপব্যবহারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইরান বিরোধী প্রস্তাব জমা দিয়েছে জার্মানি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এসব মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিমুখী মানদণ্ড অনুসরণ করছে। তাদের এই একপেশে তৎপরতা গ্রহণযোগ্য নয়।
পার্সটুডের তথ্য বলছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যায় সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। ফিলিস্তিন ও অঞ্চলের নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল অপরাধের সঙ্গে জার্মানির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তারা ফিলিস্তিনে চলমান মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিষয়ে নীরব থাকার পাশাপাশি সেখানে সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনে মদদ দিচ্ছে। মানবাধিকার ইস্যুতে কথা বলার মতো জার্মানির কোনও নৈতিক ও আইনি অবস্থা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরাকের সাবেক বাথ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি উন্নয়নে জার্মানির সক্রিয় ও সরাসরি ভূমিকার কথা স্মরণ করে ইসমাইল বাকায়ি জার্মান কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে তারা সত্যিই সচেতন ও সোচ্চার হয়ে থাকলে সাদ্দাম সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহে জার্মান কোম্পানি এবং সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি যৌথ তথ্য-অনুসন্ধান ব্যবস্থা গঠনের জন্য ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যে প্রস্তাব দিয়েছে বার্লিন তা মেনে নিত। ইরান অনেক আগেই তেহরানে জার্মান দূতাবাসে ঐ প্রস্তাবটি জমা দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ইরানের আইন বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে ইরাকের সাবেক বাথ সরকারের আট বছরের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে রাসায়নিক হামলার শিকার সাবেক সেনাদের সঙ্গে দেখা করার পর বলেছেন, “রাসায়নিক হামলার শিকার ইরানের যুদ্ধাহত সেনারা জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশগুলোর মানবাধিকার সংক্রান্ত দাবিগুলোর অসারতার একটি জীবন্ত উদাহরণ। কারণ জার্মানি ইরাকের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।”
গারিবাবাদি জোর দিয়ে বলেন, সময়ের পেরিয়ে গেলেও সাদ্দাম সরকারের যুদ্ধাপরাধের সাথে জার্মানির জড়িত থাকার দায় কমবে না।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাদ্দাম সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহে জার্মানির ভূমিকা সম্পর্কে একটি সত্য-অনুসন্ধান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জার্মানির কাছে ইরানের উত্থাপিত প্রস্তাব দুটি স্বীকৃত মানবাধিকার নীতির উপর ভিত্তিশীল: বাস্তবতা এবং ন্যায়বিচার।
সূত্র: পার্সটুডে।