
টাইমস ২৪ ডটনেট: ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করেছে। নতুন শাসকদের উপর ছেড়ে দেওয়া সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, সাঁজোয়া যান, কামান এবং ক্ষেপণাস্ত্র, সেইসাথে সামরিক বিমানবন্দর এবং দূরপাল্লার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য বিশেষ টানেলের মতো কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালিয়ে আসছে। এটি একই সাথে ইসরাইল এবং তুরস্কের মধ্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ ও বিশ্লেষণাত্মক ওয়েবসাইট আল-আরাবি আল-জাদীদ ‘ সিরিয়া ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধ ক্ষেত্র” শীর্ষক একটি নিবন্ধে লিখেছে, ‘পূর্ববর্তী সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্র ও সরঞ্জামের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহারের অযোগ্য ছিল,তবে সামরিক ঘাঁটি, টানেল, অস্ত্র কারখানা এবং গবেষণা কেন্দ্র সহ অবকাঠামো ভালো অবস্থায় ছিল এবং সিরিয়া এটি স্থাপন ও সজ্জিত করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল।”
আল-আরাবি আল-জাদিদ ওয়েবসাইট সিরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর জন্য ইহুদিবাদী সরকারের দেওয়া চারটি অজুহাতের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছে: প্রথম অজুহাত হল সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠীর ইতিহাস। ইসরাইলের লক্ষ্যে হল সিরিয়ার সামরিক কাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলা যাতে নতুন সরকারের বাহিনী সিরিয়ার আগের সেনাবাহিনীর স্থলাভিষিক্ত হতে না পারেন।
দ্বিতীয় অজুহাত হলো দামেস্ক এবং আঙ্কারার মধ্যে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরের খবরের উপর সরকারি এবং অনানুষ্ঠানিক অবস্থান। টি-৪ ঘাঁটিতে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ড্রোন মোতায়েনের ঘটনায় ইসরাইল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরাইল এই ঘাঁটিতে তুর্কিয়ের উপস্থিতিকে বিপজ্জনক বলে মনে করে কারণ এটি সিরিয়ায় তাদের কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা হরণ করে।
তৃতীয় অজুহাত হলো ইসরাইলের মধ্যপ্রাচ্যে অবিসংবাদিত শক্তি হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা যেখানে তারা সকল সামরিক, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক চুক্তিকে তার স্বার্থের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করে।
চতুর্থ অজুহাত হলো সিরিয়াকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা, অস্থিতিশীল করা এবং দেশের পূর্ব, দক্ষিণ এবং উপকূলে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তৈরি করা।
সূত্র: পার্সটুডে।