বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে রাজি হওয়ায় মায়াময় সরকার কে স্বাগত জানান সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ

টাইমস ২৪ ডটনেট :প্রথম ধাপে ১ লক্ষ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে রাজি হওয়ায় মায়াময় সরকার কে স্বাগত জানান সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ। গণমাধ্যম পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায জানান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ সাথে গতকাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন। এসময় মায়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে বলে জানানো হয়। আমরা এ-ই সাফল্য কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় অগ্রগতি বলছে মনে করছি।

রমজানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে ইফতার করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ ইউনুস অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ছিলেন। রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারেন সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেছিলেন আমাদের দেশে ১২ লাখেরও বেশি অতিথি দুঃখে দিন কাটাচ্ছে, আমি দোয়া করি, তারা যেন পরবর্তী ঈদ নিজেদের মাতৃভূমিতে উদযাপন করতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকারের প্রতিফলন দেখছি এবং প্রধান উপদেষ্টার সাফল্যকে স্বাগত জানাচ্ছি।

রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে ‘অপারেশন ক্লিয়ারেন্স’ নামে যে বর্বর হামলা চালানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর, তা বিশ্বের ইতিহাসে জঘন্য হামলার নিকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। জীবন বাঁচাতে নিজভূমি থেকে পলায়ন করে বাংলাদেশ আসার ৮ বছর কেটে গেছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহ‍‌ৎ জোরপূর্বক নির্বাসনের ঘটনা। কিন্তু, তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি অপূর্ণই রয়ে গেছে। এ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যায়নি। বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ১৯৮২ সালের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির অধিকার হরণ করা হয়েছে, হরণ করা হয়েছে তাদের মৌলিক অধিকার। রোহিঙ্গা পূর্ণবাসনে ক্ষেত্রে তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে পূর্ণবাসন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

এসময় আরও বলেন,
১৯৭৮, ১৯৯১-১৯৯২, ২০১২, ২০১৫ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া সকল রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে একটি টেকসই সমাধান প্রত্যাশা করছি যা রোহিঙ্গাদেরও দীর্ঘবছরের কাঙ্ক্ষিত লালিত আকাঙ্ক্ষা। মায়ানমারের পাঁচ রাজ্যে স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সব মানবাধিকার ব্যবস্থাপনার উপস্থিতিতে পূর্নবাসন কার্য সম্পূর্ণ করা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

 

Related Articles

Back to top button