
সৈয়দা রাশিদা বারীনো: বেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরব।
কেউবা বলে সৌরভ কারণ তিনি বাংলাদেশের সন্তান।
১৯৪০ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া এই যুবরাজ
২০২৪ সালের ৮আগষ্ট বাংলাদেশের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন।
এত বছর বয়সের এই মহানায়ক,
এর আগে ২০০৫ সালে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ লাভ করেন।
বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের দায়িত্বে
প্রধান হিসেবে তাকে পেয়ে ধন্য।
তিনিও বাঙালির শ্রদ্ধা ভালোবাসায় অনন্য।
বাহ অপূর্ব!! অকৃত্রিম অসাধারণ!!
শতাব্দী শুরুর মহানায়ক! শতাব্দীর শেষ জননায়ক!
১৯৪০ থেকে আজ ২০২৫ পর্যন্ত জনগন তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
আধুনিক তুরস্কের নিঃসন্তান কামাল পাশার মতো,
ইউনূসও বাংলাদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার আর এক কামাল পাশা!
২০২৪ এর জুন জুলাই
বাংলাদেশের মজলুম মানুষের নির্ভীক ভালোবাসায়!!
দেশ পরিচালনার দায়িত্বে তার পদার্পণ শুভ আগমন।
সার্বিক পর্যায়ের মানুষ জানিয়েছেন তার অভিনন্দন।
তিনি ফিরিয়ে দিবেন বাঙালির ৫৩ বছরের ন্যায্য হিস্যা,
এদেশের অবদানকারীর যার যেটা পাওনা।
তিনিই দিবেন- মানুষ ১০০% নিশ্চিত
বর্তমান বাংলাদেশের বাঙালির বিশ্বাস।
একদিন বাঙালীর শেখ মুজিবও দিয়েছিল এমনই আশ্বাস।
এখন ড. ইউনূসের দেশ প্রেম,
একদিনের দেশ প্রেমিক মুজিবের মতো।
এখন ইউনূসও নিঃস্বার্থে গরিব দুঃখী অসহায়ের কথা বলেন।
মাতৃ প্রেম, বাংলাভাষা, জন্মভূমি,
কবি, সাহিত্যিক সাংবাদিক শিল্পীর কথা বলেন।
পোড় খাওয়া, অসহায় বঞ্চিত,
লাঞ্চিত. অবহেলিত জ্ঞানীগুনির কথা বলেন।
তিনি আসল দেশ প্রেমিকের প্রাপ্তি, বুঝিয়ে দিতেই এসেছেন।
যা এখনও দেওয়া বাকি আছে।
জিয়া-খালেদা, মুজিব-মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা,
আরো অন্যান্য, যা করতে পারেন নাই।
স্বাধীন দেশের বুকে সবাইকে আপন করেন নাই।
দুই অন্তরে রেখেছেন। কিন্তু এখন স্বাধীনতার ৪৫বছরেও
আর দুই রকম নয়। এখন সবাই এক।
সবাই একই মায়ের সন্তান!
সকল রাজ পন্থীদের একপন্থী হতে হবে।
একই গাছের বাকল শাখা প্রশাখা মানুষ সম্প্রদায় প্রজন্ম।
এমন মানুসিকতা হতে হবে।
সবারই নানা দাদারা তো ব্রিটিশ বিরোধী ছিলেন।
বাংলাভাষার আন্দোলক ছিলেন।
স্বাধীনতার আন্দোলক ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা,
শিশু মুক্তিযোদ্ধা, পৌড়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
দেশের সার্বিক মুক্তি কামনায় কেদে ছিলেন।
আল্লাহর কাছে নামাজ রোজা মানত করেছিলেন।
তাহলে কেন এতো বছরেও ভেদাভেদ
দুই অন্তরে দেখা থাকবে?? তা আর থাকবে না।
শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনূস, শান্তি ফিরিয়ে দিতে ওয়াদাবদ্ধ!
সেই ওয়াদা, সেই দায়িত্ব একনিষ্ঠভাবে
পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।
দেশের দায় মুক্তির দায়- যা করেন নাই রায়,
তাই করতেই এসেছেন এ সাহেনশাহ ড. ইউনূস চাচায়
আসলকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে আসেন নাই।
সেহেতু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা চাই।
৫৩ বছরের অন্যায়ের বিচার
ন্যায্য হিস্যা পাওনা … সময় তো একটু লাগবেই।
বঞ্চিতদের আর্তনাদ থামাবার প্রার্থনা,
লাঞ্চিতদের উপযুক্ত সম্মান বুঝিয়ে দেওয়া প্রত্যাশা
তিনিই তো পূরণ করে দিবেন।
এসেছেন দিতে, নিজাম ডাকাত হয়ে।
এসেছেন দিতে, বেগম রোকেয়া কবি বে-নজীর আহম্মদ হয়ে।
এসেছেন তিতুমীর, এ কে ফজলুল হক, নেতাজী সুবাস
সৈয়দ ওয়াহেদ আলী মিঞা, বাঘা যতীন,
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, মছিরুন নেছা খাতুন
ড. রাধা বিনোদ পাল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী,
খাজা নাজীমুদ্দিন, ননী বালা দেবী, ক্ষুদিরাম বসূ
রফিউদ্দিন জোয়ার্দ্দার, ভাষাসৈনিক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম,
সৈয়দ আর ডব্লিউ আলী হয়ে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে!!
ড. ইউনূস তিনি এসেছেন, বাংলাদেশে
বিগত নেতাদের বাকি রেখে যাওয়া কাজ,
উদ্ধার করতে ঐক্যের বন্ধনে,
রাজনীতিমুক্ত, গরীব, দুঃখী, অসহায়দের আহবানে।
লেখক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক সাংবাদিকদের সাধনে।
কোটা আন্দোলক সমন্বয়কদের দায়ে
বাংলাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী ২শ বছরের খেষারত শুধরাতে
৭১ পরবর্তী ৫৩বছরের কলুষ মুক্ত করতে, ঘুচাতে।
সেই ৪৭/৫২/৬৯/৭০/৭২রের
ঐক্যের মতান্তর ফিরিয়ে দিতে। ফিরিয়ে আনতে।
আহা কত সুখি ছিল পূর্ব পুরুষরা!
একতায় বিশ্বাসে আর ভালোবাসায়!
সার্বিক জনসাধারণের অকৃত্রিম এক কল্যাণে
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসেছেন ২৪এর জন জাগরণে।
দীর্ঘ দীনের অতিষ্ঠিত, ও বিরক্তিত হওয়ার মুক্তিবানে
হয়ে বাংলাদেশের বাঙালির বাঙালিকত্তের বন্ধু।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস মানে বাংলাদেশের হত দরিদ্র মানুষের
তৃষ্ণার্ত মুখে ঠান্ডা শীতল জল!
হৃদয়ে শান্তির ছোঁয়া শান্তনা বেঁচে থাকার।
উত্তপ্ত গরমে জ্বালা ধরে যাওয়া দেহে, দখিনা সুবাতাস!!!
অন্ধকারে আলোর ঝিলিক। নিবু নিবু প্রদ্বীপে
গর্জিয়াস সোডিয়াম লাইটের আলো!
ড. মোহাম্মদ ইউনূস বাঙালির
সুন্দর মেধায় পরিণত জায়গাটুকু জোড়া আদর্শ।
বাঙালির ঘরে ঘরে সত্যিকারের উন্নয়ন উন্নতি-
সত্যিকারের গর্বে পরিণত হওয়া সকল কারিগর!
শিক্ষিতর জোয়ার, অভাব দূরীকরণের জোয়ার।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এর
ভদ্র নম্র শুশীল সৃজনশীল কন্ঠসর বাণীতে রূপান্তর।
বাংলাদেশে এনেছে ঐক্য মতান্তর। কল্যাণময় মঙ্গলময় অনুভূতি!
ড. ইউনূস বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেরও বন্ধু।
আবার ভারতও তার বন্ধু। তিনি পাকিস্তানেরও শত্রু নন।
কানাডা, রাশিয়া, সাইপ্রাস, জাপান, জার্মান, লেবানন,
আরকানসাস ইত্যাদি কোন রাষ্টেরই নন। অথচ কিন্তু সব রাষ্ট্রের।
তিনি আসলে সব দেশের বন্ধুত্বে চাইছেন ঐক্য শান্তি।
কারণ তিনি আন্তর্জাতিক পরি মন্ডলে
শান্তিতে নোবেল প্রাইজ অর্জনকারী, ভীমরতিতে না বিশ্বাসী।
তার মধ্যে কাজ করেনা বা
পাত্তা দেয়না ছোট পর্যায়ের বিভেদ।
ইসলামও গন্ডগোল ফ্যাসাদ পুষে রাখতে বলে নাই।
ড. ইউনূস মানে মুক্তিকামি জনমানুষের আশ্রয়, প্রত্যয়।
অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা তিনি নন।
তিনি মানুষের ভালোবাসার দলনায়ক! ঐক্যের দলনায়ক!
বহুকালের পরাজয় মেনে থাকা
ক্লান্তিহীন যুদ্ধাদের দলনায়ক, হিংসা বিদ্বেষ অহংকারমুক্ত মানুষ।
প্রতিশোধ প্রতিবাদ পরাক্রম অপকর্ম অপশক্তিমুক্ত।
এইসব গ্লানি ক্রন্দন থামাবার তিনি আসলে
প্রথম শ্রেণীর ক্লাস ওয়ান যোদ্ধা। নোঃড়া যোদ্ধা নন।
তাইতো পশু কর্মগুলোর জবাব দিতে স্তব্ধ হন।
মানুষ হয়েও কিভাবে এতো বেআক্কেল! ভেবে হতভম্ভ রন!
করছে জোতচুরি অনাকারবারী মণিঋষি অলী আল্লাহ
পীর আওলিয়াও মানছে না। ভাঙছে মাজার!
দিচ্ছে মাজারের দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দের সবকিছু জ্বালিয়ে
যেখানে আসলে সর্বহারা আধ্যাত্মিকগণ আশ্রয় নিয়ে থাকে
অলি আওরিয়ার ভক্ত অনুসারি আবার নাবালিকারও করছে ধর্ষণ!?
এর প্রতিবাদ করতে তো অমানুষের দরকার!
আসলেও একজন ভালো মানুষ, তার নারভাস হওয়ারও কথা।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ঐতিহাসিক রাজপতি রাজাধিরাজ।
ড. ইউনূস সে যুগের দলপতি বাংলা ভাষার,
বাংলাভাষা ও বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত করারও প্রতিনিধি।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন বাংলাদেশ হিসেবে
পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতায় তার অংশগ্রহণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি)
যার মৃত্যু হয় ১৯৮২ সালে।
ও প্রকৌশলী রফিউদ্দিন ওয়াহেদ আলী ওরফে
সৈয়দ আর. ডব্লিউ আলী বাচ্চ মিঞা
(প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও কোষাধ্যাক্ষ)। যার মৃত্যু: ২০১৪ সালে।
তাদের দু’টি সংগঠন-
১. মানবাধিকার সাহায্যকারী বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান।
২. বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা লীগ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে
অর্থসহ নানা রকম সহযোগিতা দিয়েছেন।
শিকাগোতে ফজলুর রহমানের বাড়িতে
প্রতি শানিবার বিকালে সভা হতো।
সভায় আসতো বাংলাদেশী আমেরিকাবাসী
ভারতীয় মিশনারী এবং অনেক বাংলাদেশী লোকজন।
ড. মোহাম্মদ ইউনূসও বাংলাদেশী প্রতিনিধি হিসেবে
উপস্থিত থাকতেন। স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলেছে।
মৃত: রফিউদ্দিন একজন প্রচার বিমুখ বিশ্ব পর্যটক, লেখক গবেষক
ইতিহাসের ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিকের ধারক, বিংশ শতাব্দীর
২৪ দশকে যার জন্ম, একবিংশ শতাব্দীর ১৪ দশকে মৃত্যু!
মহানায়ক- ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস
পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের, প্রেম ভালোবাসা
নিঃশ্বাস প্রশ্বাস, দোয়া দয়া আশীর্বাদ পেয়েছেন।
মানুষেরও উজাড় করে ভালোবেসে
তা ফিরিয়ে দিবেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু পেতে হলে অস্থির না হয়ে স্থির ধৈর্য রাখতে হবে।
ধৈর্যের আরেক নাম বিজয় নিশান।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস মানে নজরুলের ঝাঁকড়া চুলের
ভেঙে ফেলো বন্ধী শালা!
মুক্তি কামী মানুষের শক্তি বল ঐক্য আহবান।
তিনি সিনিয়রদেরও দল প্রধান। প্রজন্মদেরও দল প্রধান।
রাস্তার বেদেনী সম্প্রদায় ফকিরদেরও দল প্রধান,
উচু অট্টালিকার দল প্রধান, দলরাজ।
তিনি কাউকে ছোট, বিভ্রান্তি, লাঞ্চিত, বঞ্চিত করবেন না!
দিবেন যুদ্ধ ছাড়া মুক্তি। করো তাইতো তাকে ভক্তি।
সেইতো সুখ শান্তনার আলাদা কৃষ্টি! রহমত আল্লাহর সুদৃষ্টি
৫২’র ভাষার মাসেই হলো- এক অধ্যায়ের সৃষ্টি।
২০২৫’র ভাষার ইতিহাসে, সমন্বয়কদের তৃষ্ণার জল!
সবার গ্রহণযোগ্য সুখী সমৃদ্ধিশালী মরুদৈত্য ছলোছল!
একটি সোনালী সুস্থ সুন্দর দেশ গড়ার যুক্তি প্রযুক্তি এবং মুক্তি।
তার পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের সবার জন্যই ঈদ মোবারক।
বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকেও তার জন্য রইলো
ঈদের শুভেচ্ছা রমজানুল ঈদ মোবারক।
২৪.০৩.২০২৫ ইং, রাত ৯টা, শনিবার।