
সৈয়দা রাশিদা বারী: যে দল সবাইকে সমান দেখবে। সবার নাগরিকত্ব অধিকার আদায় করতে দেবে। সবাইকে মানুষ মনে করবে। দেশের নাগরিক মনে করবে। যে ব্যক্তির যে রকম যোগ্যতা আছে, গুন আছে, মেধা আছে, সেই ব্যক্তিকে, সেই রকম সম্মান দেবে। চামচা দালাল এর কথামতো চলবে না। সেই দল দরকার। মূলত বর্তমান মানুষের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ব্যাথা করার কারণ নিরাপত্তা। আমার তো মনে হয় তাদের কাছে দল কোন বিষয় না। অতএব জনগন বলছে কোন দলেরই দরকার নাই। দরকার জান মালের নিরাপত্তা। এই হিসেবে কেউ কেউ বলছে, আমাদের দেশ রাজপ্রধান রাজতন্ত্রের হলেই ভালো। প্রজাতন্ত্র যদি শৃঙ্খলা ধরে রাখতে নাই পারে। তাহলে দেশের এতো টাকা বারবার নির্বাচন দিয়ে নষ্ট হবে না। একদল ৫বছর ক্ষমতায় থাকে, যত পারে হাতিয়ে নিয়ে বোঝা বাধে। আর শুধু তার নিজস্ব মানুষের দেখে। বিরোধী দলের মারে। আয়না ঘরে ভরে। হাওয়া ঘরে রাখে। এরকম শাসন আমার দেশে প্রয়োজন নাই। আমার দেশে কোন মানুষ এ রাজনৈতিক কারণে মরবে না। সেই শাসন মানুষ চাই। রাজতন্ত্রের দেশগুলোতে কোন অশান্তি নাই এ ধরনের। কেন একদল পতন হবে! আর একদল আসবে? এবং একে অপরের প্রতিশোধ নেবে??!!!! এই চক্রান্ত আর দেশে চাইনা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। রাজতন্ত্রের দেশগুলোতে এই সমস্ত নাই। বেহেস্তর মতো শান্তি দুনিয়ার বুকেই। আমার দেশ গরিব থাক। কিন্তু আমার দেশে চক্রান্ত দরকার নাই। ঐতিহ্য ধ্বংস করার চক্রান্ত! মানুষ মারার চক্রান্ত। একে অপরের প্রতিশোধ নেওয়ার চক্রান্ত। জনগন চাইনা এরকম শাসন। রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পাই। বরং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন শীতল শান্তিময় থাকলে জনগণও শান্তি পায়। আমিও চাই না এরকম শাসন। মানুষ কানাঘুসা করছে, কোন দলের কোন সুবিধা অসুবিধা। কারা মানুষের রগ কেটে দিয়ে মারে!!! কারা হাওয়া ঘরে রাখে, কারা আয়না ঘরে রাখে? এবং কিভাবে কষ্ট দেয়! কিভাবে অমানুষিক নির্যাতন করে! আল্লাহ কি এটা বলেছে?? এত রকম প্রেসানি দেশ শাসনের নামে, ইসলাম প্রচারের নামে করতে মানুষের সেবার নামে, দেশে অশান্তি বাধাতে। মানুষ আর অশান্তি চায় না, চাই শান্তি। এই যে আমি বললাম?! হয়তো ওরা আমার অপরাধ ধরবে। এইটাই তো সমস্যা! এসব রাজনৈতিকদেব দোষগুলো বলা যায় না। আবার এরা নাকি শুধু অন্যায় করে?! আরে অন্যায় করবা কেন?? আবার বলতেও দিবানা। দোষ গুণ বলার সাধারণ এমনকি সব মানুষের স্বাধীনতা থাকবে! লেখকেরও লেখার স্বাধীনতা থাকবে। একজন লেখকের লেখালেখি জীবনে কতজন রাষ্ট্র প্রধান হয়েছে সে পেয়েছে- এবং কোন রাষ্ট্রপ্রধান দেশের কোন কোন সুবিধা দিয়েছে তা লেখার মধ্যেই প্রমাণ থাকবে। হাজার বছর পরেও মানুষ তার লেখা পড়ে সময় কালের সকল তথ্য পেয়ে ধন্য হয়ে যাবে। ভালোলাগা মন্দলাগা রুচি চয়েস যোগ্যতা মেধা পারদর্শিতা চাহিদা মানসিক প্রয়োজন, অশ্লীল না হলেই হল, অবৈধ না হলেই হলো, কেন রাজনৈতিক সংগঠনগুলো মানুষের উপর জুলুম করবে?? জুলুম করাটাও তো অবৈধ অশ্লীল খারাপ কাজ! আমি চাইনা আমার দেশে এত সমস্যা থাকুক! মানুষের নিরাপত্তা ধুলিস্যাৎ হোক। দেশের ও দশের যত রাজ্যির সমস্যাগুলো সৃষ্টি করা, রাজনৈতিক দলের কাজ না হোক। ৭১সালের স্বাধীনতার পর থেকে, রাজনৈতিক দলের হাঙ্গামার জন্য এদেশে শান্তি নাই। আগে অশান্তি করতো বিদেশীরা। সেই বিদেশীদের তারিয়েও মানুষ কষ্টে আছে, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে। রাজনৈতিক একদল আসে তো, দেশের সব শোষণ করে, ওই দল খায়। বিরোধী দলের দাবড়াই। আবার রানিং দল পাওয়ার হারালে। বিরুদ্ধ দল ক্ষমতায় এসে তাদের থাবরাই, পেদানি মারে। সব চুষে খায়। ডানে বামে কারোর দেয় না। এইভাবে দল পরিবর্তন হয় আর দেশের সমস্ত কিছু নষ্ট হয় ধ্বংস হয় এবং অশান্তি অপকর্মে ভরে যায়। দেশ সুন্দর মতো না চালাতে পারলে স্বসস্মানে সরে পরবে জনগণের এটাই প্রত্যাশা। স্বাধীন দেশে এতো দল থাকবে না। সমস্ত মানুষের অধিকার দেখবে। মানুষ তার সমস্যা বলতে পারবে। সেই গার্জিয়ান টা শুধু থাকবে। আর থাকবে গার্জিয়ানের সহকর্মীরা। যারা যাদের শাখা প্রশাখা বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মানুষের অধিকার আদায় করবে। কোন দলের? এই বলে বাছা বাচি করবেনা। যোগ্যতা পারদর্শিতা অনুসারে সম্মান করবে, কাজ দিবে। বেঁচে থাকার পথ দিবে। চুল যে কাটতে পারদর্শী, গরুর রাখালীর দায়িত্ব তার জন্য নয়। লিখতে যে পারবে, তার জন্য মাঠের চাষ করা নয়। একজন হিসাববিজ্ঞানী অঙ্কে ভালো, সে কখনো সাহিত্যের কলম যোদ্ধা নয়। ইত্যাদি এইভাবে যোগ্যতার সাথে কর্ম থাকবে মানুষের। চামচামি দালালি করে অযোগ্যকে ক্ষমতার বলে, এক এক জায়গায় বসানোর কোন প্রয়োজন নাই। যার যা প্রয়োজন, যোগ্যতা অনুসারে, সঠিক পরিচালিত থাকবে, রাজতন্ত্রে দলতন্ত্রে নয়। বিশেষ করে ক্ষমতায় বর্তমান থাকাবস্থায়। নইলে তো ঝঞ্জাট রাহাজারী, মারামরি, খুনাখুনি ফ্যাসাদ থাকবেই। যে সমস্ত রাজতন্ত্রের দেশ আছে, খবর নিলে দেখা যায় সবাই অনেক সুখে আছে। আমার দেশের মতো কাটাকাটি, পাটাপাটি, আয়না ঘর, হাওয়া ঘর, এ সমস্তর দাপট নাই। আমাদের দেশের যতটুকু আছে, আমরা ভাগ করে সবাইকে দিয়ে, একভাবে কয়টা দিন কাটিয়ে দেওয়ায় মঙ্গল। কয়দিন পরেই তো মরে যেতে হবে? কেন ছিনতাই লুটতরাজ এবং অন্যের অধিকার শোষণ করে, বঞ্চিত করে, অনেক সহায়-সম্পত্তি গরে কি হবে? কবরে তো নিয়ে যাওয়া যাবে না?? এত ঘুষ খেয়ে, অত্যাচার জুলুম করে, টাকা বানিয়ে কি হবে? আর যার যার দোযখ বেহেশত তার তার। নিজের ভালো সকলেই বোঝে। জুলুম করে একজনকে বাধ্য করা মোটেই ঠিক নয় বরং সে তার নিজের চরকায় তেল দিলেই ভালো। নিজে বেহেস্তে যাবেন, এটা নিশ্চিত করলেই তো ভালো হয়। সচেতন জনগনের সাথে সহমত পোষণে আমিও তাই মনে করি। ১৪.০৩.২৫, দুপুর ১টা।