
টাইমস ২৪ ডটনেট: এরদোয়ান সতর্ক করে বলেছেন, সরকার কোনো বিক্ষোভ সহ্য করবে না এবং তিনি বিরোধী দলকে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযুক্ত করেছেন।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কঠোর হুঁশিয়ারির পরও শুক্রবার (২১ মার্চ) ইস্তানবুলসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ইস্তানবুলের মেয়র ও এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমেছে। খবর এপি।
ইস্তানবুলে বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও পিপার স্প্রে ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভ দমন করে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়।তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানান, বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
ইমামোগলুকে বুধবার ভোরে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক গ্রেফতার হিসেবে দেখছে। যদিও সরকারের ভাষ্য, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
২০১৩ সালের পর ইমামোগলুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুরস্কে শুরু হয়েছে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ওজগুর ওজেল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি লাখো মানুষকে রাস্তায় নেমে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, এরদোয়ান সতর্ক করে বলেছেন, সরকার কোনো বিক্ষোভ সহ্য করবে না এবং তিনি বিরোধী দলকে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযুক্ত করেছেন।
এরদোয়ান বলেছেন, আমরা কিছু স্বার্থান্বেষীর কারণে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে দেব না। চুরি, লুটপাট ও প্রতারণাকে রক্ষা করতে আদালতের বদলে রাস্তায় নামার আহ্বান চরম দায়িত্বহীনতা। আমরা অতীতে রাস্তায় সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।শুক্রবার আঙ্কারা ও ইজমিরে পাঁচ দিনের জন্য সকল বিক্ষোভ ও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এর আগে ইস্তানবুলেও দেয়া হয়েছিল। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল সীমিত করার পাশপাশি আঙ্কারার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়, যেখানে একদিন আগেই সহিংস সংঘর্ষ হয়েছিল।
এদিন ইস্তানবুলে ইরাকি কনস্যুলেটের ওপরও হামলা হয়েছে। দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে এসে আটটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে তুরস্ক ও ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।