
টাইমস ২৪ 🎯 ডটনেট: মৌলভীবাজার জেলা শহরের (মুসলিম কোয়ার্টার) এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান,কিশোর বয়সে পড়ালেখায় প্রচন্ড মেধাবী ছাত্র সাব্বির আহমদ কৃতিত্বের সাথে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষায় উত্বীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজার জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ভর্তি হন।কলেজে পড়ালেখা কালীন সময়ে তারুণ্যের বাঁধনহারা দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা দাবি দাওয়ার পক্ষে কাজ করতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে।গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য লজিং, টিউশনির ব্যবস্থা,শিক্ষাবৃত্বি, পাঠাগার প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নানা রকম কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন,তাঁর এসব সাহসী ও উদ্যোমী কার্যক্রম তৎকালীন সময়ে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন,শিক্ষকদের কাছে আদর্শবান ছাত্র হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন।
ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী, সুবক্তা, অসাধারণ সাংগঠনিক গুণাবলী কলেজ ক্যাম্পাসসহ সারা জেলায় তাঁর সু-খ্যাতি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে,
৯৪ সালে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে (মিজান-পারভেজ) পরিষদে সহ বার্ষিকী সম্পাদক পদে শিক্ষার্থীদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তাক লাগিয়ে দেন।ছাত্র রাজনীতির উত্বাল সময়গুলো তাঁর জন্য কখনো ফুল বিছানো ছিল না,ছিল কণ্টকাকীর্ণ-বন্ধুর পথ।মিথ্যা মামলায় বার বার কারা-ভোগ করতে হয়েছে ,অবশেষে ১/১১ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
মাতৃভূমি ও মানুষের টানে যখনই দেশে আসেন তখনই শাসক গোষ্ঠীর চক্রান্ত ও মিথ্যা মামলা, হামলায় তিনি ঠিকতে পারেননি।তবুও প্রবাসে বসে ফ্যাসিবাদ বিরুধী সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন,দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যহত রেখেছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে গনতন্ত্র ফিরে এলে আবার ফিরে আসেন প্রিয় জন্মভূমিতে।নিজ এলাকা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে ফিরে পেয়ে আবার সাহস পেলো,ভরসা পেলো,রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন এর এই অসময়ে নিজ এলাকার নানা নাগরিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিলেন।আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রিয় ব্যাক্তিত্ব সাব্বির আহমদ ভাইকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন এবং ৪ নং ওয়ার্ড সারা দেশের মধ্যে একটি মডেল ও শ্রেষ্ঠ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন।