বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর বিরুদ্ধে একটি আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন সম্পর্কিত বিষয়ে ভিত্তিহীন তথ্য এবং অপপ্রচার 

টাইমস ২৪ ডটনেট :বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের বিকাশ, জনশক্তি রপ্তানি, পর্যটন শিল্প, বৈদেশিক বিনিয়োগ, সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্ন আমদানি-রপ্তানি নিশ্চিত এবং টেকসই জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের এভিয়েশন খাতের বিকাশ কে International Civil Aviation Organization (ICAO) এর বিধি অনুযায়ী পরিচালনা এবং একই সাথে সক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সমূহকে অত্যাধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব করা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সময়গুলোতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রমাণস্বরূপ গত অর্থবছরে শুধুমাত্র হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে দেশের এভিয়েশন ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার অধিক মুনাফা অর্জন এবং ১২.৫ মিলিয়ন সম্মানিত যাত্রী পরিবহন সম্ভবপর হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিক-নির্দেশনা, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ দেশের এভিয়েশন খাত এক নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত হচ্ছে।বিমানবন্দরের যাত্রীসেবার সার্বিক মান উন্নয়ন এবং মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রমিত প্রবিধানমালা প্রতিপালনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগ, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিভাগ (এভসেক) এর ৩৪৯২ জনসহ সর্বমোট ৫১১২ জন নিয়োগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্প্রতি, বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান সংক্রান্তে একটি সংস্থার নাম উল্লেখ করে কিছু মনগড়া এবং ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের যেকোনো সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিং এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা সাপেক্ষে গৃহীত হয়। এ বিষয়ে কোন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি এবং যেকোন সংস্থাপন বেবিচকের সকলের অনুমোদন ব্যতিত করা হবে না। অত্র সংস্থায় কর্মরত একটি স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বহিরাগত কিছু অসাধু চক্রের প্ররোচনায় মদদপুষ্ট হয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং বিমান বন্দর সমূহের চলমান অগ্রগতিতে অস্থিতিশীল ও বাধাগ্রস্ত করার নিমিত্তে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অত্র সংস্থার নিকট প্রতিয়মান হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিমানবন্দর সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং যাত্রীসেবার মান-উন্নয়নে বেবিচক কর্তৃক বিভিন্ন উৎস হতে মতামত গ্রহণ করা হলেও প্রত্যেকটি প্রস্তাবনা অথবা কার্যক্রম অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে যাচাই-বাছাই এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হয়ে থাকে।

দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশের এভিয়েশন খাতের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করত: জাতীয় উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে একটি অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রয়াস এবং একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় দেশের এভিয়েশন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নে সকল বাধা উপেক্ষা করে একটি অত্যাধুনিক, নির্ভরযোগ্য এবং আস্থাশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে অত্র সংস্থা ভবিষ্যতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাবে।

 

Related Articles

Back to top button