
টাইমস ২৪ ডটনেট: গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি রমজান ও পাসওভার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটিকে ‘সেতুবন্ধনমূলক’ প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্টরা।বিবিসি ও আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ সেতুবন্ধনমূলক প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে হুঁশিয়ার করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হামাস যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, হামাসের কাছে দুটি পথ খোলা; হয় অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তি দাও, নয়তো ভয়ানক মূল্য পরিশোধ করতে হবে।গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব হামাসের কাছে হস্তান্তর করে। এর অধীনে, হামাসকে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে, আর এর বিনিময়ে বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ সম্প্রসারিত করা হবে যাতে গাজায় আরও বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র একটি দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান বের করতে কাজ চালিয়ে যাবে।যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তারা হামাসকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এডান আলেকজান্ডার নামের এক মার্কিন-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিককে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।এমন প্রস্তাব পেয়ে হামাসও পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। যেটির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার হামাস জানিয়েছে, তারা নিউ জার্সির বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী ইসরায়েলি সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। চারজনের মরদেহও ফেরতের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।উইটকফ হামাসের এই অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, হামাস বাইরে নমনীয়তার কথা বলছে, কিন্তু বাস্তবে অযৌক্তিক দাবি তুলছে।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি মনে করে সময় তাদের পক্ষে, তাহলে তারা ভয়ানক ভুল করছে। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আমরা কঠোর জবাব দেব।গাজায় সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার হলেও, দুই পক্ষের কঠোর অবস্থানের কারণে সমাধানের পথ এখনও অনিশ্চিত।