
টাইমস ২৪ ডটনেট :নির্বাচন ব্যবস্থা সংষ্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় নির্বাচন ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হবে না মর্মে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কংগেসের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন। দলের যুগপূর্তি উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের ২ নং হলরুমে “স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন বন্ধ করতে হবে এবং নিজস্ব নিয়োগ বিধি দ্বারা নির্বাচন কমিশনের কমিশনারসহ সকল নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন, সংষ্কার কশিনের প্রস্তাবনায় এ বিষয়ে কিছু বলা নেই।
এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন আরো বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত করা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাত দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। সাত দফায় বলা হয় জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, নানান অনিয়ম ও বিশৃংখলার কারণে অতীতে দেশের প্রতিটি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে। এই মুহুর্তেও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে আবারও অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজরা অপকৌশলে জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রশাসনে জেঁকে বসবে। তাদের হাতে সুশাসন বা গণতন্ত্র কোনটাই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএলডিপি’র চেয়ারম্যান এম নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল’র চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আনোয়ারুল ইসলাম চান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ’র চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মহসিন রশিদ, বাংলাদেশ জাসদ’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, এনপিপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান দেওয়ান, বাংলাদেশ ন্যাপ’র মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি’র মহাসচিব এ্যাডঃ জাফর আহমেদ জয়, তৃণমূল বিএনপি’র মহাসচিব এ্যাডঃ তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনএম-এর ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, জেএসডি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের সভাপতি ডঃ শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, গণঅধিকার পরিষদ-এর উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ জহুরা খাতুন জুঁই, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরশ ভাসানী, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাকের পার্টির কায়সার হামিদ (ফুটবলার), এটিএন বাংলা’র পরিচালক মমিনুর রশিদ মামুন প্রমুখ।