
টাইমস ২৪ ডটনেট : রাজধানীর মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং দ্বিতীয় পর্ব এলাকায় মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদনা এবং সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে জমি জবরদখলের পায়তারার অভিযোগ করেছেন মোহাম্মাদ বাইজিদ হোসাইন নামক এক ব্যবসায়ী।
তার দাবি, আমাকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে তারা দাবি করছে উল্লিখিত জমিটি নাকি তাদের দখলে ছিল৷ কিন্তু বাস্তবতা হলো জমিটি আমার ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছ থেকেই কেনা এবং হাউজিংয়ের দখলেই ছিল। বর্তমানে ক্রয়সূত্রে আমার দখলে রয়েছে।
মঙ্গলবার ৪ মার্চ, দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সব দাবি করেন।
বাইজিদ হোসাইন বলেন, আমি এবং আমার ব্যবসায়ী অংশীদাররা মিরপুর ইস্টার্ন হাইজিং দ্বিতীয় পর্ব এলাকায় (ব্লক. এন, রোড. ৩, প্লট নম্বর- ৯১) ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ভোগদখল করে আসছি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (পিতা-জামাল হোসেন) ও সাইফুল ইসলাম নিজাম সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করেন। ঘটনা জানতে পেরে আমি ৯৯৯ ফোন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নেই। এতে পল্লবী থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যেহেতু জমিতে মামলা চলমান রয়েছে, তাই আদেশ না আসা পর্যন্ত কাউকে ঝুট-ঝামেলা সৃষ্টি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আরও বলতে চাই, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ছোটখাটো ব্যবসায়ী, ব্যবসার প্রয়োজনেই সবার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর হোসেন পাশেই সাড়ে ৭ কাঠা ওপরে ১০তলা একটি বিল্ডিং করে, ৪ কাঠার টিন সেডে মার্কেট করে এবং মিরপুর সি ব্লক ৪/৫ নম্বরে বাসার ২টি ফ্ল্যাট ক্রয় করে পুরো একটি বাড়ি দখল করে আছেন।
বাইজিদ হোসাইন নামে এই অভিযোগকারী আরও বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন নূরজাহান বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি ক্রয়ের দাবি করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জমির খতিয়ানে যে নূরজাহান বেগমের নাম আছে তিনি ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমনকি তিনি যতটুকু জমি পেতেন (দলিল নম্বর ৫৪৬১) তা ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন যে নূরজাহান বেগমের কাছ থেকে জমি কিনেছেন বলে দাবি করেছেন, তার এনআইডির তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত নূরজাহান বেগমের কোনো মিল নেই। সিআইডির রিপোর্টেও তা প্রমাণিত হয়েছে।