বাংলাদেশ

প্রতারক সিকদার লিটনের সাথে ঢাকায় হোটেলে রাত কাটালেন বিতর্কিত তৃপ্তি খানম, তোলপাড়

টাইমস ২৪ ডটনেট : প্রতারণাসহ কয়েক ডজন ফৌজদারী মামলার আসামী ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার সিকদার লিটনের একেরপর এক অপরাধের খবর বেরিয়ে আসছে এবার। প্রতারণার সিদ্ধহস্ত এই মামলাবাজ নিজেকে যতই চালাক মনে করুক না কেন সিকদার লিটনের কারী একের পর এক নারী কেলেঙ্কারীও এখন, অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে। সর্বশেষ ১৯ ঢাকার নাবাবপুরের হোটেল মুস্তারীতে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামের আনজু মিয়ার মেয়ে তৃপ্তি খানমকে নিয়ে রাত কাটিয়েছে প্রতারক সিকদার লিটন। দু’জনের সকল সিকদার রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অনাত্মীয় এবং সম্পর্কহীন প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নর-নারীর এই একত্র রাত্রিযাপন নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মনে।

বিবাহিত সিকদার লিটনের বহুগামিতা যেমন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে তেমনি তৃপ্তি খানমের চারিত্রিক দুর্বলতাও এলাকার মানুষের মুখে মুখে। মামলাবাজি করে সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চক্রান্তের খলনায়ক-খলনায়িকা হিসেবে যখন সিকদার লিটন-তৃপ্তি খানমের নাম আলফাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্চারিত হচ্ছে তখনই বেরিয়ে এলো দু’জনের গোপন অভিসারের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে করে দেখা যায়, প্রতারণার মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত সিকদার লিটন ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরিদপুরের রাজবাড়ী মোড় থেকে বিতর্কিত নারী তৃপ্তি খানমকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঢাকা ঢাকায় এসে নবাবপুর রোডের হোটেল মুস্তারীতে ওঠেন। তারা রাত্রিবাস করেন। প্রতারক সিকদার লিটন ও তৃপ্তি খানমের এই গোপন অভিসার ও অবৈধ সম্পর্ক কিসের ইঙ্গিত? আলাপকালে আলফাডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান টা জাহিদুল হাসান বলেন, ‘সিকদার লিটন একজন ভয়ংকর প্রতারক ও অপরাধী। তার কাজ হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকার সম্মানী লোকের বিষয়েয নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের ফাঁদ পাতা।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় সিকদার লিটনের প্রতারণা ফাঁদ বিস্তৃত। তার বহু বিবাহও এলাকায় আলোচিত-সমালোচিত।’

আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সায়ফার বলেন, ‘পেশাদার প্রতারক সিকদার লিটন এখন লোভের ফাঁদে তৃপ্তি খানমকে ফাঁসিয়েছে। আর তৃপ্তি খানমকে এখন তুরুপের তাস হিসেবে নিজের নোংরা স্বার্থে ব্যবহার করছে।’

আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন বলেন, ‘এলাকায় সিকদার লিটন একজন দুষ্টু চরিত্রের লোক হিসেবে পরিচিত। মোবাইল চুরি, চাকরির নামে মানুষের কাছ টাকা হাতানোসহ নানা অপরাধে সে দীর্ঘকাল এলাকা ছাড়া।’

উভয়ই বলেন, সিকদার লিটন মিষ্টি কথার জালে ফেলে বহু নারীর সর্বনাশ করেছে; এমন বহু অভিযোগ নানা সময়ে তাদের কাছে এসেছে।

আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতারক সিকদার লিটন নানা অপরাধে কারাগারে গেছে। আর কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এবার এলাকার দুষ্টু নারী তৃপ্তি খানমকে তার অপরাধের নতুন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে। সিকদার লিটন-তৃপ্তি খানমের গোপন অভিসার ও অবৈধ সম্পর্কের জন্য তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রতারণাসহ নানা ফৌজদারী অপরাধে যুক্ত সিকদার লিটন বছর চারেক কারাভোগের পর গত অক্টোবরে কারাগার থেকে বেরিয়ে নতুন করে প্রচারণা ও মামলা বানিজ্য যুক্ত হয়ে পড়েছে। ভয়ংকর এই অপরাধীর মামলা বানিজ্য নিয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে জানা গেছে।

Related Articles

Back to top button