
টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থবছরের মাঝপথে এসে গত ৯ জানুয়ারি ২০২৫, শতাধিক পণ্যের উপর স্থানীয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ৭.৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বৃদ্ধি করেছে। অংশীজনদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একই সাথে ৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রেখে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান ‘বৈষম্যবিরোধী করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি।
মঙ্গলবার ২৫ জানুয়ারি দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা বলেন যারা কৃষিপণ্য আমদানি করেন এবং যেসব কৃষিপণ্য ভ্যাট মুক্ত ছিল, সেসব পণ্যের বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট পুননির্ধারণ করা হয়েছে, এতে আমদানির ক্ষেত্রে Advance Tax ৫% থাকার ফলে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৪৮৫% অতিরিক্ত ট্রেজারি পেমেন্ট করতে হচ্ছে, যা ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকার সবসময় কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে আগ্রহী হয় এবং কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকে। আমাদের আমদানি করা সকল পণ্যের গ্রাহক কৃষক তথা গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব মানুষের ব্যবহৃত পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কার্যালয়গুলো প্রতিটি ব্যবসায়ীকে ডেকে মূল্য ঘোষণা ৪.৩ উপকরণ উৎপাদ সহগ ৪০% সংযোজন দিবে মূল্য ঘোষণা জমা দিতে বাধ্য করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের ক্রয়মূষল্যের সাথে ১০ শতাংশ যোগ করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য ১০ শতাংশ লাভ করা বাস্তবসম্মত নয়।
বৈষম্যবিরোধী করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। পূর্বের ন্যায় ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা। বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রেখে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করা।
উল্লেখ্য, সরকার ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫% পর্যন্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। তাই আমরা আশ্য করি, আমাদের যৌক্তিক দাবি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। যদি তা না হয়, তবে আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও দাবি মানা না হলে, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধা হবো।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ এবং পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী গন উপস্থিত ছিলেন।