টাইম ২৪ ডটনেট, বিশেষ সংবাদদাতা, আমান উল্লাহ পাটওয়ারী, সাভার (ঢাকা) থেকে: সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পাদ গবেষণা ইনিস্টিটিউট ( বিএলআরআই)’তে বার্ড ফ্লো’তে আক্রান্ত হয়ে গবেষণার ৮০টি কোয়েল পাখি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোয়েল পাখি উপর প্রায় ২৫/৩০ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা চালিয়ে আসছেন । মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী ) এ ঘটনা প্রকাশ ফেলেও গত সপ্তাহে মারা যাওয়া ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গোপন করার চেষ্টা করা হয়। কোয়েল পাখি দেখবালের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ তারেক হোসেন ৮০টি পাখি মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি খোপের মধ্যে থাকা সাড়ে ৩’শর মধ্যে বাকী পাখি গুলো আইসোলিশনে নিয়ে যাই আমার।
জানা যায়, সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পাদ গবেষণা ইনিস্টিটিউট ( বিএলআরআই)’তে দীর্ঘ প্রায় ২৫/৩০ বছর যাবৎ কোয়েল পাখির উপর বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে আসছেন। হাঁস, মরগি, কবুতর,উটপাখিসহ বিভিন্ন প্রাণির উপর যে ভাবে গবেষণা করে আসছেন তেমনি কোয়েল পাখির উপরও গবেষণা চলমান ছিল। এ পাখি গুলো গবেষণা করে বিজ্ঞানিরা উন্নত জাতের কয়েল পাখি , ডিম ও গোস্তের চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করে আসছিল । গত সপ্তাহের রোববার হঠাৎ করে একটি খোপে থাকা ব্লাক জাতের সাড়ে ৩’শ পাখির মধ্যে প্রথমে ৭০ থেকে ৮০ টি পাখি বার্ড ফ্লোতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরবর্তীতে গবেষণার উন্নত জাতের বাকী পাখি গুলোও মারা গেলে কর্তৃপক্ষ তা প্রথমে গোপন করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাদের পরস্পরের মধ্যে তা প্রকাশ পায়। দায়িত্বে থাকাদের দাবী একটি খোপের মধ্যে থাকা সাড়ে ৩’শ পাখির মধে প্রথমে ৭০/৮০টি আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বাকী গুলো আইসোলিশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে ঐ গোপে নতুন বাচ্চা উঠানো হয়েছে। কোয়ের পাখি পালন করে বর্তমানে বিভিন্ন জেলা ও থানা পর্যায়ে অনেকে স্বাবলম্বি হয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। গবেষণার কোয়েল পাখি মারা যাওয়ার খবরে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পাদ গবেষণা ইনিস্টিটিউট ( বিএলআরআই)’তে কর্মকর্তাদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে কথা চালাচালি চলছে। এদিকে বিএলআরআই বিভিন্ন বিভাগের অধিকাংশ কর্মকর্তারা কোয়েক পাখি গুলো মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করলেও সঠিক সংখ্যা স্বীকার করছেন না। অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মারা যাওয়া কোয়েল পাখির সংখ্যা এক হাজার থেকে ১৫ ’শ। যদিও কোয়েল পাখির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এ সংখ্যা স্বীকার করেন নি।
সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পাদ গবেষণা ইনিস্টিটিউট ( বিএলআরআই)’ এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কোয়েল পাখির দায়িত্বে থাকা ) মোঃ তারেক হোসেন কোয়েল পাখি মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- পাখি গুলো বার্ড ফ্লো, না রানী ক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আমরা তা পরীক্ষা করে দেখছি। মারা যাওয়া খোপে নতুন বাচ্চা উঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএলআরআই’তে গবেষণার উন্নত জাতের বেশ কিছু মোরগির চুরির ঘটনা এর আগে একবার ঘটেছিল । ঐ সময়ও প্রথমে তা গোপনা করেন, পরবর্তীতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা জানি হলে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল।