টাইমস ২৪ ডটনেট: টানা ছয় বছর নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। দুই বছর আগে অশ্রুসিক্ত হয়ে হঠাৎ দায়িত্ব থেকে তার অব্যাহতির ঘোষণা অবাক করেছে গোটা বিশ্বকে।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন জেসিন্ডা। বিশ্বে সবচেয়ে অল্পবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেন তিনি।
২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন।
প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর জেসিন্ডাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, আগ্নেয়গিরির প্রাণঘাতী উদগিরণ ও করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন জেসিন্ডা। তিনি হয়ে ওঠেন প্রগতিশীল রাজনীতির বৈশ্বিক ‘মূর্ত প্রতীক’ বা ‘আইকন’।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জেসিন্ডা আরডার্ন জনসমক্ষে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না।প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলোশিপে নিয়োজিত ছিলেন।
২০২৫ সালের জুনে নিজের আত্মজীবনী প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন জেসিন্ডা। নিজের জীবনীতে প্রথমবারের মতো আকস্মিক প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি তার আত্মজীবনীকে ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ হিসাবে বর্ণনা করে আশা প্রকাশ করেন যে, যারা নেতৃত্ব দিতে চায় তার বই তাদের সাহায্য করবে।
জেসিন্ডা বলেন, ‘যাদের নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাস নেই আশা করি আমার বইয়ে তাদের জন্য কিছু থাকবে।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই নারী প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন কিছু লিখছি যা আগে কারও সঙ্গে শেয়ার করিনি।তবে একই সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে কেমন লাগে সে বিষয়ও শেয়ার করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে আপনি যদি নিজেকে নেতা হিসেবে আবিষ্কার করে অবাক হন।’
জেসিন্ডার জীবনী প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠানের মতে, এই বইটি মূলত একজন সাধারণ মেয়ে কীভাবে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে না, তার গল্প। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরি করেছেন এবং বিশ্ব নেতা হিসাবে আমাদের ধারণা পরিবর্তন করেছেন।