জাতীয়

দাবানল নেভাতে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সুপার স্কুপার’ বিমান দিচ্ছে কানাডা

একবারে ফেলতে পারে ১৬ হাজার গ্যালন পানি

টাইমস ২৪ ডটনেট:যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের ভয়াবহ দাবানল নেভাতে দেশটিকে দু’টি সুপার স্কুপার বিমান দিচ্ছে কানাডার সরকার। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।দাবানল বা বড় জায়াগাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে আধুনিক বিশ্বে সবচেয়ে কার্যকর বিমান বলে বিবেচনা করা হয় সুপার স্কুইপারকে। এটি একটি উভচর বিমান; অর্থাৎ মাটি এবং পানি— উভয় স্থান থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণে সক্ষম। বিমানটির দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট এবং দুই পাখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৯৩ ফুট।লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে ক্যালিফোর্নিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ার সার্ভিস। এক একটি হেলিকপ্টার যেখানে এক বারে সর্বোচ্চ কয়েক শ লিটার পানি উপদ্রুত এলাকায় ফেলতে পারে, সেখানে সুপার স্কুইপার একবারে ১৬ হাজার গ্যালন (এক গ্যালন=৩ দশমিক ৭৮ লিটার) পানি ফেলতে পারে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ তুলতে পারে ৩৫০ কিলোমিটার।এছাড়া ট্যাংকে পানি ভরার জন্য মাটিতে নামতে হয় না উড়োজাহাজটির। যে কোনো বড় জলাশয়ে নেমে মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যে সুপার স্কুপার তার পানির ট্যাংক পূর্ণ করতে পারে। ট্যাংকে পানি পূর্ণ হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাতে মেশানো হয় বিশেষ এক ধরনের ফোম বা ফেনা। আগুন নেভানোর জন্য এই ফেনামিশ্রিত পানি সাধারণ পানির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।ট্যাংকে পানি ভর্তির পর আগুন উপদ্রুত এলাকার উদ্দেশে ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিতে উড়ে গিয়ে সেই পানি ফেলতে পারে বিমানটি। পানি ফেলার সময় ট্যাংকের চারটি দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়। দাবনালের মতো বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভাতে সুপার স্কুপারকে সবচেয়ে কার্যকর বায়ুযান বলে মনে করা হয়।কানাডার সরকারের কাছ থেকে এর আগে দু’টি সুপার স্কুপার বিমান লিজ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কানাডার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নেভানোর জন্য শিগগিরই আরও দু’টি সুপার স্কুপার বিমান সেখানে পাঠানো হবে।গত ৭ জানুয়ারি থেকে ভয়াবহ দাবানল শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরটি হলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। হলিউডের প্রথম সারির সব স্টুডিও, চলচিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, টেকনিশিয়ানরা বসবাস করেন এই শহরটিতে।গত ৬ দিনের দাবানলে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন, ১২ হাজারেরও বেশি ভবন পুড়ে গেছে এবং বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে বাধ্য হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি মানুষ। সরকারি তথ্য অনুসারে, ভয়াবহ এই দাবানলে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট ও ঢাকা পোষ্ট।

Related Articles

Back to top button