বাংলাদেশ

বেসরকারি এজেন্সিগুলোর হজযাত্রী কোটা পুনর্নির্ধারণের দাবি

টাইমস ২৪ ডটনেট: আসন্ন হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এজেন্সির হজযাত্রী কোটা সর্বনিম্ন ১০০ এবং সর্বোচ্চ ২৫০ জন করাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকগণ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে হজ এজেন্সি মালিকদের ব্যানারে ‘হজ-২০২৫ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরোয়ার। তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর, সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নিরবিচ্ছিন্ন এবং নির্বিঘ্নে প্রতিপালনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমানে হজ এজেন্সি প্রতি ৫০০ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে; এতে হজ্জ যাত্রীদের সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই কোটা পুনর্নির্ধারণের দাবি জানাই।
হাবের এই প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি বলেন, সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ হাজী সাহেবরা বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় হজ পালন করতে যান। তাদের সেবাদানের জন্য এজেন্সি প্রতি ১০০ জনের কোটা নির্ধারণ করা যৌক্তিক বলে মনে করি। সরকারের সর্বশেষ হজনীতি অনুযায়ী, এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন কোটা ১০০ জন ও সর্বোচ্চ ৩০০ জন নির্ধারিত আছে, পরে তা ৫০০ জন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিপুল এই সংখ্যা সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই কোটা ১০০ জন করা অথবা আগের মতো ২৫০ জন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এসময় তিনি হজ এজেন্সি মালিকদের পক্ষে ১৩ দাবি তুলে ধরেন।

১. হজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতো হজ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রী কোটা সর্বনিম্ন ১০০ জন এবং অনধিক ২৫০ জন করা।
২. লিড এজেন্সির সঙ্গে লিড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যৌক্তিক সময় বাড়াতে হবে।
৩. লিড এজেন্সির মোনাজ্জেমদের জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছরের মাল্টিপল ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. প্রতি ৪০ জন হজযাত্রীর জন্য একজন গাইড নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে হজযাত্রীর সেবা ও হজ ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ও সুন্দর হবে।
৫. আগামী ২০২৫ হজ ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি এজেন্সিকে একটি বারকোড বা মিশন ভিসা প্রদান করতে হবে।
৬. গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে নিবন্ধনের ব্যাংক ভাউচার করা হয়েছিল, সেসব ভাউচার গ্রহণ করার জন্য সময় বৃদ্ধি ও প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার দাবি করছি।
৭. বাড়ি ভাড়া করার সময়সূচির আগে ফাইনাল ফ্লাইট সিডিউল ঘোষণা করা এবং সব হজযাত্রীদের টিকেট নিশ্চিত করা।
৮. বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য চুক্তি করার সময় পবিত্র রমজান পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
৯. ভিসা ইস্যুর সময় সর্বশেষ হজ ফ্লাইটের একসপ্তাহ আগ পর্যন্ত চালু রাখা।
১০. ইতোমধ্যে এজেন্সির একাউন্ট হতে সৌদি পর্বের খরচ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অথচ সৌদি পর্বের খাতওয়ারি খরচের হিসাব অফিসিয়ালি এখনও অবহিত করা হয়নি। এমতাবস্থায় কীভাবে এজেন্সি বাড়ি ভাড়া করবে। অনতিবিলম্বে সৌদি পর্বের খরচ অবহিত করা।
১১. লিড এজেন্সি নিয়োগের বিধি সংশোধন করে ‘হাজী যার-দায় তার’ বিধান সংযোজন করা অতীব জরুরি।
১২. মুয়াল্লিমের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া ও খানা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করে পূর্বের ন্যায় বহাল রাখা একান্ত প্রয়োজন।
১৩. মাশায়ের কোম্পানি গ্রহণ করার সময় ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বেসরকারি হজ এজেন্সির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button