বাংলাদেশ

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শোকজ কিন্তু বদলিতে দরদ !

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এলজিইডি) ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আয়েশা খাতুনের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসাধারচণ, উন্নয়ন কাজে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি’র রুটিন দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী গত ২৪ ডিসেম্বর কৈফিয়ত তলবের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। যার স্বারক নং- ১৩৮০১ এবং ২৬/১২/২০২৪ চিঠি প্রেরিত হয়।
জানা যায়, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আয়েশা খাতুন ঈশ্বরগঞ্জ এলজিইডিতে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্নভাবে অনিয়মন ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ভ্রমলভাতা খাতে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থসহ অন্যান্য কারগরি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে না দিয়ে বিধি বর্হিভূতভাবে নিজে উত্তোলন করে এককভাবে আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া মেরামত ও সংরক্ষণ এবং পরিচালন বাজেটের আওতায় ইন্টারনেট, পেট্রোল ও লুব্রিকেট, কম্পিউটার সামগ্রী, স্ট্যাম্প অন্যান্য মনোহরী, মোটরযান ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের শীতকালীন পোশাক ও বদলি ভ্রমণ ভাতার বিল-ভাউচার ট্রেজারি হতে হিসাব সহকারীর নামে পাশ করিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
কর্মচারীরা প্রাপ্য ভ্রমণ ভাতার বিল দাবি করলে আয়েশা খাতুন তাদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ বদলি করার হুমকি দেন। তিনি উন্নয়নমূলক কাজের সাইট পরিদর্শন করেন না এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদারকে যথাযথ সিদ্ধান্ত দিতে অক্ষম হওয়ার ফলে কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব ও সরকারি অর্থের অপচয়সহ জনস্বার্থে বিঘ্নিত হচ্ছে।
কৈফিয়ত তলবের চিঠি থেকে জানা যায়, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আয়েশা খাতুনের কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী অসাদাচরণ ও দুর্নীতি পরায়ণতার শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় কেনো তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে না? সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রধান প্রকৌশলীর চিঠির সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সাবেক এমপির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের দুই ঠিকাদারের ফাইনাল বিল প্রদানের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে আবেদন করা হয়। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সোমবার নিবার্হী প্রকৌশলী দপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সরেজমিনে সাইট দুটি পরিদর্শন শেষে কাজের মান ও ত্রুটি নিয়ে আয়েশা খাতুনের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, কৈফিয়ত তলবের আগে আয়েশা খাতুনের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, উন্নয়ন কাজে অনিয়ম এবং কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠলে তাকে অন্যাত্র বদলির জন্য ঢাকার এক জৈষ্ঠ সাংবাদিক বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কর্ণপাত করেননি। তিনি বলেন, ওই মহিলাকে ইশ্বরগঞ্জ থেকে বদলি করলে আমি অফিসে বসতে পারবো না বলে এলজিইডি’র প্রশাসন শাখার জৈনক এক কর্মকর্তা আমাকে জানান। দুর্নীতিবাজ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আয়েশা খাতুনের জন্য দরদ দেখে বোঝাই যাচ্ছে তার খুঁটির জোর কোথায়!
এ বিষয়ে আয়েশা খাতুনের বক্তব্য জানতে ০১৭০৮ ১৬১৪৪১ নাম্বারে ফোন করে তিনি ফোন ধরেননি।

 

Related Articles

Back to top button