বাংলাদেশ

অসাধু প্রকৌশলী-ঠিকাদার চক্রের হাতে জিম্মি সিভিল এভিয়েশন

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: তুঘলকি কান্ড চলছে সিভিল এভিয়েশনে। অনিয়ম স্বেচ্ছাচারি তার পেছনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ঠিকাদার চক্র। সবই চলছে সিভিল এভিয়েশন উন্নয়নের একটি বড় অংশ তছরুপের টার্গেট করে। এর তত্বাবধায়ক নেতৃত্বে রয়েছে সিভিল এভিয়েশন এর-তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব। কি নাই তার ঝুলিতে অবৈধভাবে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অনৈতিকভাবে আশ্রয় নিয়ে সহযোগিতা করছে। চাইলেই নিজ চক্রের বাইরের সাধারণ ঠিকাদারদের নানান ভাবে হয়রানি করা এবং নিজ চক্রের কর্মচারী এবং ঠিকাদারদের দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে প্রতিবাদকারীদের হুমকী, মামলা মোকদ্দমা দেওয়া এখন তার নিত্য দিনের কাজ।
এছাড়াও চলছে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহা-আয়োজন। সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগের কয়েকজন প্রকৌশলীর কাছে জিম্মি পুরো প্রতিষ্ঠান। টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না। ঠিকাদারদের অভিযোগ, টাকা ছাড়া কোন কাজের ইস্টিমিট পাওয়া যায় না। কাজ পেলেও টাকা না দিলে ফাইল আটকা পড়ে থাকে। অভিযোগকারীরা বলছেন, কয়েকজন প্রকৌশলী ও কিছু ঠিকাদার সিন্ডিকেট করে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব। এ সিন্ডিকেটের কারণে দক্ষ মেধাবী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রকৌশলীদের নানা অজুহাতে সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতিবাজ অসাধু প্রকৌশলীরা ভাগিয়ে নিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো। আর পছন্দের ঠিকাদারদের শত শত কোটি টাকার কাজ দিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। কতিপয় প্রভাবশালী ঠিকাদারদের অবৈধ অন্যায় আবদার না রাখায় সিভিল এভিয়েশনের প্রকৌশলী বিভাগের যোগসাজশে নানা কৌশলে মেধাবী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রকৌশলীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলোর সততা প্রশ্নে তার পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাখ্যা পেতে আমাদের প্রতিনিধি রানা মিয়াকে একাধিকবার সিভিল এভিয়েশনে পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। কখনও কখনও অফিসে থাকলেও তার পিওন বলেন তিনি অফিসে নেই। একটি সূত্র নিশ্চিত করে তিনি অফিসের বায়রে অফিস করেন নানান জায়গায়। তবে তার দুইটি মোবাইল ফোনে ফোন করলে একটি মোবাইল ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যটি বন্ধ পাওয়া যায়। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তিনি সামনাসামনি হতে চাইছেন না এমনটা জানিয়েছে তার একজন অফিস সহকারী।

Related Articles

Back to top button