টাইমস ২৪ ডটনেট:গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধের লক্ষ্যে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এর কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ, এনএসআই, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিমের সহযোগিতায় অদ্য ২৬/১২/২০২৪খিঃ তারিখে দুবাই থেকে আগত বাংলাদেশ বিমান এর ফ্লাইট নং-BG-148 তে রামেজিং (তল্লাশী) কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তল্লাশীর এক পর্যায়ে 9J সিটের নীচ হতে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় কালো স্কচটেপে মোড়ানো দুইটি প্যাকেট পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত দুটি প্যাকেট কাস্টমস কাউন্টারে এনে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে খুলে তাতে ২০ (বিশ)টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। চোরাচালানের মাধ্যমে আনীত এসব স্বর্ণবারসমূহ স্বর্ণকার দ্বারা পরীক্ষা করলে তাতে ২৪ ক্যারেট মানের ২.৩২ কেজি (প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম) স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য- 2,60,00,000/-(দুই কোটি ষাট লক্ষ) টাকা।
০২। 9J সিটের যাত্রী জনাব আতিয়া সামিয়া [পাসপোর্ট নং-EE0942246, ঠিকানা-পিতা মোহাম্মদ ইয়াসিন, মাতা মোছাম্মদ শিরিন বেগম, বাড়ি-362, ব্লক -01, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, বোয়ালিয়া, রাজশাহী] বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তিনি অনলাইন স্বর্ণ ব্যবসার সাথে জড়িত মর্মে মৌখিকভাবে স্বীকার করেন এবং তাঁর ভিজিটিং কার্ডেও অনুরুপ তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত যাত্রী জনাব আতিয়া সামিয়া [পাসপোর্ট নং-EE0942246) এর বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির আওতায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৩। চোরাচালানকৃত স্বর্ণবার পরিবহণ করায় এয়ারক্র্যাফটিও চোরাচালানের দায়ে অভিযুক্ত। তাই স্বর্ণবারসমূহ আটকের পাশাপাশি ফ্লাইট নং- BG-148 (Boeing 777- ER, রেজিঃ নং-S2-AFQ) এর এয়ারক্র্যাফটিকেও কাস্টমস আইন, ২০২৩ মোতাবেক আটক করা হয়।
০৪। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল, শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এর কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ ও এনএসআই, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিমের সহযোগিতায় উক্ত স্বর্ণ চোরাচালানটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। আটককৃত স্বর্ণবারসমূহের মূল্য 2,60,00,000/-(দুই কোটি ষাট লক্ষ) টাকা এবং এয়ারক্র্যাফটির আনুমানিক মূল্য ১,০০০ কোটি টাকাসহ সমুদয় আটককৃত পণ্যের মূল্য এক হাজার দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকা, যা ন্যায়-নির্ণয়নের জন্য কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের নিকট হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।