topআন্তর্জাতিক

শেষ মুহূর্তে ‘শাটডাউন’ এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

টাইমস ২৪ ডটনেট: সরকারের কার্যক্রম সচল রাখতে বা শাটডাউন এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রত উচ্চকক্ষ সিনেটেও বিলটি পাস হয়েছে। নতুন এই বিলটি পাস না হলে শনিবার থেকে শাটডাউনের মুখে পড়তো মার্কিন সরকার।স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) হাউসে তৃতীয় দফা চেষ্টার পর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ শাটডাউন রোধে অর্থ বিলটি পাস করার পরও শাটডাউন রোধে মার্কিন সিনেটরদের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। একজন সেনেটর আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত অনুমোদন মিলেছে।বিলটি পাসে সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তবে এদিন ৩৬৬–৩৪ ভোটে পাস হয় বিলটি। এতে আগামী মার্চ পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাগুলোর তহবিলের জোগান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হলো।
শাটডাউনে পড়লে কিছু জরুরি সেবা বাদে অন্যান্য সেবা খাতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেত। এতে অনেক সরকারিকর্মীর বেতনও পর্যন্ত বন্ধ যাওয়ার শঙ্কা ছিল।বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের ছুটির মুখে লাখ লাখ মার্কিনির দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠতে পারতো ফেডারেল গভর্নমেন্ট শাটডাউন।
এই বিল পাস হওয়া মার্কিন জনগণের জন্য স্বস্তির বার্তা হলেও, এটি কার্যকর হতে হলে সিনেট ও প্রেসিডেন্টের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন। দেশের সরকার পরিচালনায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও দ্রুত পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই সপ্তাহে এটি তৃতীয়বারের প্রচেষ্টা, যখন ট্রাম্প-সমর্থিত একটি তহবিল প্রস্তাব বৃহস্পতিবার ব্যর্থ হয়। সেই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছিল ট্রাম্প এবং ধনকুবের ইলন মাস্কের দ্বারা রিপাবলিকানদের উপর চাপ প্রয়োগের ফলাফল হিসেবে, যাতে তারা মূল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত এ অর্থবিল প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য সেদিন পরিষদে আনা এ বিলের বিরুদ্ধে ৩৪ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করেন।নিয়ম অনুযায়ী বিলকে আইনে পরিণত করতে হলে কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেট উভয় জায়গা থেকেই অনুমোদন পেতে হয়। পরে সেটিতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর করতে হয়।
মেয়াদ শেষে আগামী ২০শে জানুয়ারি জো বাইডেন হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করবেন। বিলটি পাসের পর রাতে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা এই আইনটিকে সমর্থন করেন।এতে আরও বলা হয়, ‘যদিও ডেমোক্রেটদের সিনেটে খুব অল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তবুও এই বিলকে আটকে দেয়া বা ধীরগতির জন্য একজন সিনেটরের আপত্তিই যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই ঘণ্টা। এরপরই তহবিলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। শাটডাউনের মুখে পড়বে মার্কিন সরকার।’

সূত্র: বিবিসি।

Related Articles

Back to top button