টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবু জাফরের স্বৈরচারী মনোভাবের শিকার হয়েছে ব্যাংকটি। আর ব্যাংক লোপাটকারী রাক্ষুসে আত্মীয়র হাতে প্রিমিয়ার ব্যাংক কতখানি নিরাপদ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বেশ কয়েকটি ফোরামে বলেছেন এস আলম এবং সাইফুজ্জামান জাবেদ তার আত্মীয়। এ কারণে তার হাতে থাকা ব্যাংকটি কতখানি নিরাপদ থাকবে তা নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
খোজ নিয়ে দেখা যায় তিনি এপ্রিল ২০২৪শে এমডি হিসেবে ব্যাংকটিতে কাজে যোগ দেন। এর মধ্যে ট্রেনিংয়ের নাম করে দুইবার আমেরিকা গিয়ে সাইফুজ্জামান জাবেদের সাথে দেখা করেছেন। এরপর হয়তো অসুস্থতার নাম করে সিঙ্গাপুর গিয়ে এস আলমের সাথে দেখা করবে। যেহেতু ব্যাংকটির চেয়ারম্যানও দেশে নেই। এই সুযোগে লোন রিস্ট্রাকচারিং-এর নামে অনেক টাকা ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যাবে।
হাজারও ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে। নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম ও বিচারহীনতা থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। লাখ লাখ কোটি ডলার পাচারকারী আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ। কিন্তু তাদের অনুসারীরা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরই জলজ্যান্ত প্রমাণ প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আবু জাফর তার ব্যাংকে প্রতিষ্ঠিত ‘মুজিব কর্ণার’টি এখনো বিদ্যমান রেখেছেন। যদিও গত ৬ আগস্টের পর কোথাও ‘মুজিব কর্ণার’-এর অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু ওই ব্যাংকে ‘মুজিব কর্ণার’টি এখনও চালু রেখেছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অবর্তমানে। এতে করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছেন তিনি, গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মাঝেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এতে করে যে কোন সময়ে সৃষ্টি হতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনার।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরাও বলছেন স্বৈরচারপ্রেমী এমন মানুষের কাছ থেকে ব্যাংকটিকে রক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন তারা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রিপাখীয় মিটিংয়ে ব্যাপারটি এমডি সাহেবের নজরে এনেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটের সদস্যরা, কিন্তু তিনি ব্যাপারটি মোটেও গ্রাহ্য করেননি।
বর্তমান এমডি মোহাম্মদ আবু জাফরের সদিচ্ছায় এই ‘মুজিব কর্ণার’টিকে বিদ্যমান রাখা হয়েছে। কারণ তিনি ওই মতবাদে বিশ্বাসী। এ প্রসঙ্গে এমডি মোহাম্মদ আবু জাফরের সাথে কথা বলতে চাইলে উনি কারো ফোন ধরেনি।