টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: নুরতাজ বাংলাদেশ লিঃ এর মালিক মো. সেলিম শেখ একের পর এক অফিস ভাড়া না দিয়ে নিরিহ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ই-কমার্স কোম্পানির চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। বিগত কয়েক বছর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অফিস নিয়ে ই-কমার্স বিজনেসের নামে নুরতাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখের ও আলিম শেখের অভিনব প্রতারণা। তারা নিজেকে প্রায় দশটা কোম্পানির মালিক দাবি করে বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজধানীর নামিদামি জায়গায় অফিস নিয়ে বাড়িওয়ালা ও বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং পণ্যের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জন থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্থানীয় থানায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করে।
ভুক্তভোগী বাড়িওয়ালা ইসমাইল হেসেন জানান, সেলিম তাকে ভাড়ার আবেদন দিয়ে কমপ্লেক্সের অফিসটি ভাড়া নিয়ে প্রায় এক বছরের মত তালবাহানা করে তার এডভান্স এবং ভাড়া কোনটাই দেয়নি। ইসমাইল হোসেন সংক্ষুব্দ হয়ে উকিল নোটিশ প্রদান করেন। যেন তার অফিসটি ছেড়ে দেয়, এবং ই-কমার্স কোম্পানি নূরতাজ বাংলাদেশ লিঃ যেন এই ভবন থেকে তার নিজস্ব অফিস সরিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে ই কমার্স কোম্পানি নূরতাজের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে সে বাড়িওয়ালার সাথে তার ভাড়া প্রাপ্যের বিষয় স্বীকার করে এবং বলে সে এখন অর্থনৈতিক ঝামেলায় আছে।
অন্যদিকে একজন ব্যাংকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাগজপত্র দেখিয়ে বলেন যে সে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা তার থেকে প্রতিমাসে পণ্যে লাভ দিবে বলে নিয়েছে কিন্তু এখন আর নূরতাজের মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এজন্য কলা বাগান থানায় তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
নুরতাজের অফিসের এক পিয়ন স্বীকার করে যে, বস আমাদেরকে টাকা না দিয়ে ছুটি দিয়ে অফিসের অন্য স্টাফদের কে দিয়ে অফিসের মালামাল বের করার জন্য একটি ছোতা লিখে দেয়। যা ভবনের সিকিউরিটিদের কে দেখিয়ে যেন আমরা রাতে মাল নিয়ে যাই। কারণ এই অফিসে মালামাল রাখা যাচ্ছে না কারণ গ্রাহকদের পাওনার কারণে অফিস করাই মুশকিল হচ্ছে।
এদিকে কলাবাগান থানা যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের কে জানায় নুরতাজ বাংলাদেশ লিঃ নামক ই-কমার্স নামক কোম্পানীর বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালা সহ অনেক বিনিয়োগকারী গ্রাহক ভুক্তভোগী গণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।