টাইমস ২৪ ডটনেট: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা হাইতিতে পুলিশের সহায়তায় অপরাধ মোকাবিলার নিরাপত্তা মিশনকে আনুষ্ঠানিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে রূপান্তরের ব্যাপারে বিস্তৃত সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তবে বুধবার (২০ নভেম্বর) আনা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে রাশিয়া ও চীন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। অপরাধীরা সম্প্রতি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজধানীর কিছু এলাকায়, যেখানে আগে সহিংসতা কম ছিল, সেখানেও সশস্ত্র অপরাধীরা হামলা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।ক্যারিবীয় দেশটির নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মাল্টিন্যাশনাল সিকিউরিটি সাপোর্ট (এমএসএস) মিশনকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে রূপান্তরের আহ্বান জানাচ্ছেন। এটি কার্যকর হলে পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
এর আগে,সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইকুয়েডর একটি প্রস্তাব দেয়, যেখানে এমএসএস মিশনকে শান্তিরক্ষা মিশনে রূপান্তরের পরিকল্পনা ছিল। তবে রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার কারণে এটি চূড়ান্ত প্রস্তাব থেকে বাদ পড়ে।রাশিয়া ও চীন বলেছে, হাইতিতে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য পর্যাপ্ত স্থিতিশীলতা নেই। তাদের দাবি, হাইতির বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয় ও তারা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত। তারা বরং বিদ্যমান মিশনের কার্যকারিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে চায়।
এদিকে, জাতিসংঘে হাইতির প্রতিনিধি আন্তোনিও রডরিগ বলেছেন, হাইতিতে বর্তমান এমএসএস মিশন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। আর্থিক, মানবিক ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে এই মিশন যথেষ্ট কার্যকর নয়। তাই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন শান্তিরক্ষা মিশনের পরিকল্পনা করা জরুরি।বর্তমানে হাইতিতে কেনিয়ার প্রায় ৪০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রতিশ্রুত ৩ হাজার ১০০ সেনার তুলনায় অতি সামান্য। মিশনের জন্য বরাদ্দ অর্থ মাত্র ১০ কোটি ডলারের কম।হাইতির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বিল বলেছেন, অপরাধীদের কারণে তার স্বাস্থ্য সংস্থার দুই-তৃতীয়াংশ কর্মী বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। দ্রুত কিছু করা না হলে সংকট আরও তীব্র হবে।হাইতির ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্তাব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হতে পারে। তবে রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতা এবং অর্থায়নের অভাব এই পরিকল্পনার ভবিষ্যৎকে আরও জটিল করে তুলেছে।