টাইমস ২৪ ডটনেট:বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কর্মরত সিভিল ও সার্ভেয়ারদের পদায়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে বলে জানান সিভিল কর্মকর্তারা।জানা যায়, সার্ভেয়াররা পিএসসির অধীনে যোগ্যতা না থাকার কারনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।এছাড়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সার্ভেয়ারদের সহকারী প্রকৌশলী হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোন অনুমতি দেয়নি। তারপরও সার্ভেয়াররা সহকারী প্রকৌশলী হওয়ার জন্য প্রাণপন চেস্টা করছে । জানা গেছে,বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জোগসাজসে সার্ভেয়ারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে একটি মহল।সার্ভেয়াররা হলো ডিপ্লোমাধারী,১৪তম গ্রেড(৩য় শ্রেনীর কর্মচারী।অথচ তারা সহকার প্রকৌশলী হতে চায়।যেখানে উপসহকারী প্রকৌশলীর সিভিল সার্টিফিকেট ধারীদের পদোন্নতির জন্য চাকুরীর মেয়াদকাল ৬ বছর পুর্ন হতে হয়।সেখানে ডিপ্লোমাধারী কিভাবে সহকারী প্রকৌশলী জন্য আন্দোলন করে তা তাদের জানা নেই।নিয়মঅনুযায়ী,সার্ভেয়ার সর্বোচ্চ উপসহকারী প্রকৌশলী হতে পারবে কিন্তু অর্থরিটির কিছু অসাধু লোকের ইন্দনে তারা সহকারী প্রকৌশলী দাবী করে আসছে যা প্রবিধান মালায় নেই।
এছাড়াও যেসকল সার্ভেয়ারগন ২০০৩ সালে যোগদান করে তারাই সহকারী প্রকৌশলী হতে চাচ্ছে। সারাদেশ সার্ভেয়াররা ডিপ্লোমাধারী ১০ম গ্রেড হওয়ার জন্য আন্দোলন করছে যা আদৌ হবে কিনা নিশ্চয়তা নেই।অথচ তারা জোর করে সহকারী প্রকৌশলী হওয়ার জন্য তদবির করছে।
এ ছাড়া ২০২৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়,যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে সিভিল এর সাথে কোন কোন বিষয়গুলো যাবে।সেখানে সার্ভেয়ারদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।সার্ভেয়াররা
এই প্রজ্ঞাপন মানে না।
জানা গেছে ২০২২ সালে সিভিল ও সার্ভেয়ারদের জটিলতা নিরসনে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটির আহবায়ক ছিলেন বেগম শামসুন্নাহার। এ বিষয়ে বেগম শামসুন্নাহার কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন আমাকে জোরকরে আহবায়ক বানানো হয়েছে আমি কিছু জানিনা।
এবিষয়ে সাবেক সার্ভেয়ার বর্তমানে পদোন্নতি হয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী সিভিল কর্মকর্তা মো:জাকির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সার্ভেয়ারা কোনভাবে সহকারী প্রকৌশলী হতে পারে না। তিনি বলেন ২০২২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের আমলে একটি বোর্ড মিটিং হয়। সে বোর্ড মিটিংয়ে তাদের পক্ষে রায় যায়। তখন আমরা সিভিল এর সবাই কোর্টে মামলা করি।এরপর ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসের দিকে কোর্টের সমঝোতার বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে মতামত দেন। সে মতামতের ভিত্তিতে
সিভিল ৬০% ও সার্ভেয়ার ৪০% সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমানে সে সিদ্ধান্ত সিভিলরা চাচ্ছেন না।কারন প্রবিধানমালা অনুযায়ী সার্ভেয়ার ডিপ্লোমাদারী।তারা কোনভাবেই সহকারী প্রকৌশলী হতে পারে না।
এবিষয়ে সার্ভেয়ার তৌফিকুল আলম মাসুদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আমাদের অফিসিয়াল বিষয়। এবিষয়ে বেশিকিছু বলতে পারবো না বলে মুঠোফোন লাইন কেটে দেন।
এবিষয়ে সাবেক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পিডি) কে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি তা মুঠোফোন রিসিভ করেনি।জানা গেছে তিনি সার্ভেয়াদের পক্ষ নিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে সার্ভেয়ারদের পক্ষে ছিলেন।
এ বিষয়ে দায়িত্ব থাকা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্মসচিব ও সদস্য (প্রকৌশলী) মনোয়ার উজ জামান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে লাইন কেটে দেন।