টাইমস ২৪ ডটনেট: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বর্ণবাদী বার্তা পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের পরের দিন বুধবার থেকে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে এসব বর্ণবাদী বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে। আলাবামা, উত্তর ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, নিউইয়র্ক এবং পেনসিলভানিয়াসহ অঙ্গরাজ্যগুলোর স্কুল ও কলেজের ছাত্রসহ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষরা এসব বার্তা পেয়েছেন।এফবিআই বলছে, সারা দেশের ব্যক্তিদের কাছে প্রেরিত আপত্তিকর এবং বর্ণবাদী বার্তা সম্পর্কে তারা সজাগ রয়েছেন এবং ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
মার্কিন নির্বাচনের পরের দিন বুধবার (৬ নভেম্বর) থেকে বার্তাগুলো আসা শুরু করে বলে জানা যায়। কিছু কিছু বার্তায় ট্রাম্পের প্রচারণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রচারাভিযানের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, এই বার্তাগুলোর সাথে প্রচারণার কোনো সম্পর্ক নেই।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনামী বার্তাগুলোর উৎস এবং পাঠানো মোট সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট।
ইন্ডিয়ানাতে একজন ৪২ বছর বয়সী মা তার উচ্চ বিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের ফোনে আসা বার্তা বিবিসিকে পাঠিয়েছেন। বিবিসির পাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার নিকটতম প্ল্যান্টেশনের দাস হওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আপনাকে একটি সাদা ভ্যানে তুলে নেওয়া হবে।
পরিচয় গোপন রেখে ওই নারী বলেন, বার্তাগুলো ‘অত্যন্ত, অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ এবং তিনি ‘দুর্বলবোধ’ করেছেন। তিনি বলেন, এটি আমেরিকার ইতিহাসের কারণে হতে পারে। তবে নির্বাচনের পরের দিনে বার্তা পাওয়ার বিষয়টি একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা হতে পারে।অন্য একজন প্রাপক হেইলি ওয়েলচ গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও বার্তা পেয়েছেন। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি একটি রসিকতা, কিন্তু পরে দেখলাম অন্য সবাই সেগুলো পাচ্ছে। ক্যাম্পসের অনেকেই জানিয়েছেন তারা ফোনে এ ধরনের বার্তা পেয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমি খুব চাপে ছিলাম এবং আমি ভয় পেয়েছিলাম কারণ আমি জানতাম না কী ঘটছে।
ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওয়ারসেল বলেছেন, এই বার্তাগুলো অগ্রহণযোগ্য। আমরা এই ধরণের ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিই।বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বার্তাগুলো সম্পর্কে সচেতন আছেন। বাসিন্দাদের উৎসাহিত করেছেন যদি তারা এ ধরণের বার্তা পান তাহলে যেন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করেন।
সূত্র: বিবিসি।