topআন্তর্জাতিক

বিভ্রান্তিকর তথ্যে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

টাইমস ২৪ ডটনেট: মার্কিন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিভ্রান্তিকর সব তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। ভোটার ও ভোট জালিয়াতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। কথিত এই অনিয়মের অভিযোগের ঘটনাগুলো ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ব্যক্তিসহ স্বতন্ত্র ও রিপাবলিকান-সমর্থক গোষ্ঠীগুলো। তবে ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকেও অল্প সংখ্যক পোস্ট আসছে। এসব ঘটনা বেশ অস্বিত্বে ফেলছে নির্বাচনি সব হর্তাকর্তাদের। ফলে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে গুজব সম্পর্কেও ভোটারদেরকেও আশ্বস্ত করতে হচ্ছে। বিবিসি।


প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনলাইন পোস্টগুলোতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা-শিবিরের মিথ্যা দাবিকে সমর্থন জানানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছিলেন। এবার ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে আবারও প্রতারণা করে পরাজিত করা হতে পারে।


২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল তিনি মেনে নেবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় বলেছিলেন, যদি ‘সুষ্ঠু ও বৈধ এবং ভালো নির্বাচন’ হয় তাহলে তিনি ফল মেনে নেবেন। অথচ সোমবার প্রকাশিত সিএনএন-এসএসআরএসের জরিপে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প পরাজিত হলে ফল প্রত্যাখ্যান করবেন। চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প নিজেই দোদুল্যমান রাজ্য পেনসিলভেনিয়ায় ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।


ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, আমরা তাদেরকে পেনসিলভেনিয়ায় বিরাট আকারে প্রতারণা করতে দেখেছি। এ জন্য তিনি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে বিচারও দাবি করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ভোট জালিয়াতি ও প্রশাসনিক ত্রুটি ঘটে থাকে। ৫০টি রাজ্যজুড়ে ভোট গ্রহণ ও ভোটার পরিচালনায় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকৃত ঘটনাগুলো এখন অতি রঞ্জিত করে অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নর্দমায় ডজন খানেক ব্যালট পাওয়া গেছে। কারণ অজানা হলেও ঘটনাটিকে অনলাইনে ইচ্ছাকৃত জালিয়াতির ঘটনা হিসাবে প্রচার করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে।


হোয়াইট হাউসের চারদিকে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যারিকেড। পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীদের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরইমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস নিরাপদ রাখতে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী।

Related Articles

Back to top button