আশরাফুজ্জামান অপু. টাইমস ২৪ ডটনেট: কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এসএএম মিনহাজ উদ্দিন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদটি পাকুন্দিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে এসএএম মিনহাজ উদ্দিন আরও বলেন, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ‘কিশোরগঞ্জে বিএনপির মামলায়, দলীয় লোকজন আসামী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদের এক জায়গায় বলা হয়েছে সুখিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্র্থী শরীফকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে। তা আদৌ সত্য নয়। কারণ শরীফ কোন সময়ই বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কর্মী, সমর্থক বা সদস্য ছিলেন না। শরীফ ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজেকে যুবদল কর্মী হিসেবে দাবী করছেন। পরিকল্পিত ভাবে একটি কুচক্রী মহল আমাকে ও আমার দলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন বলেন, শরীফ বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ নন। ৫ আগষ্টের আগে যারা আওয়ামীলীগের পক্ষ হয়ে বিএনপির ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বিএনপির পরিচয় দিচ্ছে। শরীফও তাদের মধ্যে একজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান মাসুদ, আবদুস ছাত্তার, হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিমন মিয়া, উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তুফা কামাল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তুফা কামাল জুয়েল, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মাসুদ মিয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন, সুখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফেরদৌস সহ অর্ধশত নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য যে, গত ২০ জুলাই পাকুন্দিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা, গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা তাঁতীদলের সভাপতি মোস্তফা কামাল। ওই মামলায় শরীফকে ৬৩ নম্বর আসামী করা হয়।