বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খন্দকারকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবন থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
রুস্তমখন্দকার নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার লালপুর গ্রামের তারা খন্দকারের ছেলে।
আটক রুস্তম খন্দকার নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর-৩৪৩,তারিখ, ২৯-০৮-২০২৪। মামলার ধারা যথাক্রমে ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০২/১১৪/৩৪
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতে যাওয়ার জন্য আজ সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করেন রুস্তম খন্দকার। এ সময় তাঁর চলাফেরা দেখে ইমিগ্রেশনে কর্মরত পুলিশের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন, রুস্তম খন্দকার নারায়গঞ্জের ফতল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি ফতুল্লা থানায় হওয়া আদিল হত্যা মামলার ১৭১ নমব আসামি। এ সময় তাঁকে আটক করে বেনাপোল বন্দর পোর্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, ইমিগ্রেশনে রুস্তম খন্দকারকে দেখে হাইপ্রোফাইল (গুরুত্বপূর্ণ) ব্যক্তি বলে মনে হলে গুগলে তাঁর নাম-ঠিকানা লিখে খুঁজে দেখেন। তখন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারেন। পরে নারায়গঞ্জের ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা আদিল হত্যা মামলার আসামি তিনি। তখন তাঁকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।