টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিগত উপ-নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জনাব এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলার আর্জি সুত্রে জানা যায়, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ২য়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ৩য়, ঢাকা ১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে ৪র্থ ও সাবেক দক্ষিনখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেনকে ৫ম আসামি করা হয়েছে।
আরো জানা যায়, এ মামলায় সর্বোমোট ৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এস এম জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা এর কোনো ন্যায় বিচার পাইনি। আমাদের মমতাময়ী মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা করা হয়েছিল। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের নেত্রীর গাড়ি বহরে হামলাকারীদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ দিকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান (পি পি এম সেবা)বলেন,আমরা মামলাটি অলরেডি রুজু করেছি যার নাম্বার- ১৫, তারিখ ৮/১০/২০২৪।
তিনি আরো বলেন আমরা এ মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারণার সময় উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর গাড়িবহরে যোগ দেন। গাড়িবহর কিছু দূর এগোলে উল্টো দিক থেকে উত্তরা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা খালেদা জিয়ার গাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’, ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, পাকিস্তানে ফিরে যা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা পুলিশ ও তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে এগোতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর খালেদার গাড়ি মূল সড়কে উঠে দ্রুতবেগে চলে যায়।
পরে বিএনপির চেয়ারপারসন উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টরে এসবি প্লাজা ও আমির কমপ্লেক্সে গিয়ে তাবিথের পক্ষে প্রচার চালান। তিনি বিভিন্ন দোকানে ঢুকে দোকানি ও ক্রেতাদের কাছে তাবিথের পক্ষে ভোট চান। বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন।