জাতীয়সারাদেশ

ইসরায়েলে রাতে ইরান দিনে হিজবুল্লাহর হামলা

টাইমস ২৪ ডটনেট: ইসরায়েলের ভূখণ্ডে সেনাঘাঁটিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দফায় দফায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইরান এবং গতকাল বুধবার সকালে হামলা চালিয়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তবে হিজবুল্লাহ বলছে যে, তারা বুধবার সকালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েলি সামরিক ব্যারাকে রকেট হামলা। ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সেগুলো ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে। হিজবুল্লাহর অতর্কিত হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে। তবে ইরানের হামলার পর বৈরুতে শক্তিশালী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের কর্মকর্তা দাবি করেছে ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে বড় ধরণের হামলা হবে করা হবে। বিপদের সময় ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলকে থামাতে জাতিসংঘকে বলপ্রয়োগের আহ্বান এরদোয়ানের। ইরান এবং ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টদের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা, রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে, এক্সিওস, বিবিসি, সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল ও নিউজ ১৮।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। এবারের মতো হামলা সমাপ্ত বলেও জানিয়েছে ইরান।
অন্যদিকে ইসরায়েলজুড়ে হামলার সতর্ক সংকেত বাজানো হচ্ছে। দেশটির নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তারা আরও বলেছে, যেসব বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত বা পতনের। এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হিজবুল্লাহ একটি বিবৃতিতে এসব জানিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আরও বলেছে যে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটের মধ্যে শুৎলা ও মাসকাফ আম সেটেলমেন্টে এবং শোমেরা ব্যারাকে ইসরায়েলি সেনাদের একটি জমায়েতে তিনটি মিসাইল হামলা চালানো হয়। হিজবুল্লাহ বলছে তারা যত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এর বেশ কয়েকটি সরাসরি ও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এই হামলা চালানোর কিছুক্ষণ আগেই লেবাননের আদাইসেহ শহর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটিয়ে দেওয়ার কথা জানায় হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর এসব দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এক রাতে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ইরানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত মঙ্গলবার রাতের হামলার পর বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা ইরানের এই ভয়াবহ আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং ইরান এবং তার সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইসরায়েলে আর কোনো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সেনাঘাঁটি, ইসরায়েল এবং ওই অঞ্চলে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের লক্ষ্য করে যদি পরবর্তীতে কোনো ধরনের হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা ইসরায়েল ও আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের পাশে থাকব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সেই হামলার সমুচিত জবাব দেবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বার্তায় জানিয়েছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে, ঠিক সময়ে সেটির বাস্তবায়ন করা হবে। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হলেও ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ পড়েছে জর্ডানেও। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া জর্ডান বলছে, তারা কারও যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্রদেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান। জর্ডানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী আম্মানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ পড়েছে।
দেশটির একজন মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-মোমেনি আল-মালাকা টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, জর্ডানের অবস্থান সবসময়ই এটা ছিল যে এটি কারও জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হবে না। জর্ডান এবং এর জনগণকে রক্ষা করা আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ক্ষেপণাস্ত্র এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন আল-মোমেনি।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় সম্প্রচারিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। আম্মানের উত্তর-পশ্চিমে বালকা গভর্নরেট থেকে একটি লাইভ প্রতিবেদনে একজন সাংবাদিক জানান, সেখানে ২ মিটার লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রের একটি টুকরো এসে পড়েছে।
অপরদিকে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং অন্তত ১৮ সেনা আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সীমান্তবর্তী শহর ওদাইসেতে দখলদার ইসরায়েলের সেনাদের টার্গেট করে হিজবুল্লাহ। আহত ও নিহত এসব সেনা হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করতে লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল। গত মঙ্গলবার লেবাননে প্রথম স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তবে গতকাল বুধবার হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল জানে লেবাননে তাদের স্থল হামলা খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। ফিলিস্তিনের গাজায় তারা সহজে ঢুকে পড়তে পারলেও; লেবাননের ভেতরে প্রবেশ করতে তাদের সেনাদের বেগ পেতে হবে। কারণ হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের তৈরিই করা হয়েছে এমন স্থল হামলার জন্য। তারা এক্ষেত্রে বেশ প্রশিক্ষিত। এছাড়া হিজবুল্লাহর এসব যোদ্ধার সরাসরি যুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে। তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের হয়ে সুন্নি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, ওদাইসেতে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হিজবুল্লাহ যে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এটিকে তাদের একটি বিজয় হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ এই হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অথচ শহরটিতে প্রবেশের আগে সেখানে ব্যাপক কামান হামলা চালিয়েছিল তারা।
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত মঙ্গলবার আরও শক্তিশালী বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ এই হামলা চালানোর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক্সে পোস্ট দিয়ে বৈরুতের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়। পোস্টটিতে বলা হয়, হামলার জন্য যে এলাকা লক্ষ্য করা হয়েছে সেখান থেকে বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
তবে মিসাইল হামলার জবাবে ইরানে যে কোনো সময় হামলা চালাবে দখলদার ইসরায়েল। আর এই হামলার পরিধি বড় হবে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। হামলায় ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে এসব তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলের এই কর্মকর্তা বলেছেন, হামলা হবে ‘কয়েকদিনের মধ্যে’। গত মঙ্গলবার দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি মিসাইল ছোড়ে ইরান। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং নিজেদের এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এত বড় হামলা চালায় ইরান।
দখলদার ইসরায়েলের অপর এক কর্মকর্তা এক্সিওসকে জানিয়েছেন, তাদের হামলার পর ইরান যদি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আবারও মিসাইল ছোড়ে তাহলে ‘ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে’ হামলাসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় রাখা হবে। তিনি বলেন, আমাদের হামলার জবাবে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আমরা বিবেচনায় রাখছি তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তবে তখন এটি পুরোপুরি আলাদা বলের খেলা হবে। গত মঙ্গলবারের মিসাইল হামলায় দখলদার ইসরায়েলের একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইরান। এরমধ্যে নেভাতিম বিমান ঘাঁটি প্রায় অচল করে দিয়েছে তেহরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, এই ঘাঁটিতে ইরানের কয়েক ডজন মিসাইল পড়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে তারা। এছাড়া ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হেডঅফিস লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইরান। তবে সরাসরি অফিসে মিসাইল না ছুড়ে পাশে সেগুলো ফেলে; ইসরায়েলকে ইরান কড়া বার্তা দিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বুধবার এই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, গুতেরেসকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে কারণ তিনি ইরানের মিসাইল হামলার নিন্দা জানাননি। তিনি বলেছেন, গত মঙ্গলবার ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে সেটির পর্যাপ্ত নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। এ কারণে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবেন না। দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ আরও বলেছেন, গুতেরেস একজন ‘ইসরায়েল বিদ্বেষী’, তিনি ‘সন্ত্রাসী, ধর্ষক এবং হত্যাকারীদের’ সমর্থন করেন। গুতেরসকে আগামী কয়েক প্রজন্ম জাতিসংঘের কলঙ্ক হিসেবে মনে রাখবে। যদিও মঙ্গলবার রাতে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে এর নিন্দা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব। এছাড়া আবারও যুদ্ধবিরতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এক রাতে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ইরানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার রাতের হামলার পর বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা ইরানের এই ভয়াবহ আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং ইরান এবং তার সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইসরায়েলে আর কোনো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদের উচিত হবে ১৯৫০ সালে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরায়েলের ওপর বলপ্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ১৯৫০ সালে পাস হওয়া ইউনাইটিং ফর পিস রেজুলেশনে বলা আছে, নিজেদের মধ্যে মতভেদের কারণে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যদি বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এগিয়ে আসতে পারে। আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোয়ান এই রেজুলেশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাধারণ পরিষদের উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম দেশগুলোর ব্যর্থতা দেখে দুঃখ পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য করতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

 

 

Related Articles

Back to top button